নয়াদিল্লি: শিক্ষার অধিকার আইন (Right to Education Act) না মেনে চলা দেশের মাদ্রাসাগুলি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস সংক্ষেপে এনসিপিসিআর (NCPCR)। সেই নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
২০০৯ সালের শিক্ষার অধিকার আইন অনুসরণ করে না চলা দেশের সব মাদ্রাসা বন্ধ করা জন্য এনসিপিসিআর সম্প্রতি ভারত সরকার ও সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল জামিয়াত-উলেমা-এ-হিন্দ।
কমিশন সর্বপ্রথম উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেয়, ওই আইন যেসব মাদ্রাসা অনুসরণ করছে না, তাদের বন্ধ করা হোক। ২৫ জুন কমিশন একই রকম চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রককে। সেখানে বলা হয়, মন্ত্রক যেন ইউডিআইএসই কোড না মানা সব মাদ্রাসাগুলিকে চিহ্নিত করে। যারা ওই কোড এবং শিক্ষার অধিকার আইন মানছে না, তাদের অনুমোদন বাতিল করতে হবে।
আরও পড়ুন: গৌরী লঙ্কেশ হত্যায় অভিযুক্তকে দলে নিলেন না শিন্ডে!
প্রসঙ্গত, দেশের প্রতিটি স্কুলের ওই কোড নম্বর আলাদা। ১৩ সংখ্যার যে নম্বর দ্বারা সেই স্কুল তার পরিচালন ব্যবস্থার ওপর নজরদারি করা যায়। কেন্দ্র যেন মাদ্রাসাগুলিকে ওই কোড নম্বর না দেয় বলেও কমিশন নির্দেশ দেয়। প্রয়োজনে মাদ্রাসার জন্য আলাদা কোড ব্যবস্থা তৈরি করার নির্দেশ তারা দেয়।
কমিশনের এই নির্দেশ সূত্রে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিব ২৬ জন সমস্ত জেলা কালেক্টরেটদের সরকারি অনুদান ও অনুমোদনপ্রাপ্ত মাদ্রাসাগুলিকে তদন্তের আওতায় আনতে বলেন। মাদ্রাসাগুলিতে ভর্তি হওয়া অমুসলিম শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নির্দেশে জারি হয়। ২৮ অগাস্ট ত্রিপুরা রাজ্য সরকারও একই রকম নির্দেশ জারি করে। ১০ জুলাই কেন্দ্রীয় সরকার কমিশনের নির্দেশ অনুসরণে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত রাজ্যগুলোকে পদক্ষেপ করার জন্য চিঠি দেয়।
দেখুন অন্য খবর: