নয়াদিল্লি: আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআইয়ের কাছে স্ট্যাটাস রিপোর্ট তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের। কেন প্রথমে আত্মহত্যা বলা হল, কেন এফআইআর দায়ের করতে এত দেরি, নির্যাতিতার নাম-ছবি কীভাবে প্রকাশ্যে এল? কেনই বা হাসপাতালে ডাক্তারদের জন্য ন্যূনতম আলাদা বিশ্রামকক্ষ থাকবে না? মঙ্গলবার শুনানির শুরুতেই এমন সব প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। বৃহস্পতিবারের মধ্যে সিবিআই-এর কাছে স্ট্যাটাস রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। ওইদিনই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এই মামলার শুরুতেই বিচারপতি বলেন, এটা নির্দিষ্ট কোনও ঘটনা নয়। দেশজুড়ে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নজর দিতে হবে। চিকিৎসকরা নিরাপদে নিজেদের কর্মস্থলে যেতে পারেন সেদিকেও নজর দেওয়ার কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং হাসপাতলে ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। পাশাপাশি একটি ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন: সিটের উপর আস্থা নেই, জানালেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা
শীর্ষ আদালতের আরও প্রশ্ন, যেখানে জুনিয়র চিকিৎসকরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিল সেখানে বহিরাগতরা কীভাবে ঢুকল, প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। পুলিশ কি হাসপাতাল ভাঙচুর করার অনুমতি দিচ্ছিল? বিচারপতি বলেন, মৃতার নাম ও ছবি ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। এই ঘটনার পর কেন দেরিতে এফআইআর করা হল তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হল পুলিশ ও রাজ্যকে। কপিল সিব্বল জানালেন, নির্যাতিতার বাবার তরফে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে প্রথম অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ক’টার সময় দেহ হস্তান্তর করা হয়েছে? প্রশ্ন তোলে শীর্য আদালত। আইনজীবী সিব্বল জানান, রাত সাড়ে ৮ টায় দেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, দেহ হস্তান্তরে তিন ঘণ্টা পর এফআইআর দায়ের করা হল কেন?
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: