নয়াদিল্লি: ক্ষমা প্রার্থনার আর্জি খারিজ হলে অভিযুক্তের দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করতে পথ নির্ধারণ করছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সুপ্রিম কোর্টে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আবেদন খারিজ হলে অভিযুক্ত রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করতে পারে। সেটাও খারিজ হওয়ার পর যাতে ফাঁসিতে বিলম্ব না হয়, তার জন্য উপযুক্ত পদ্ধতি নির্ধারণ করা হচ্ছে বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট।
ক্ষমা প্রার্থনার আর্জি বিচারাধীন আছে কি না না জেনেই দায়রা আদালত কি সমন জারি করতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তরে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, দেশের শীর্ষ আদালত মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করলে রাজ্যকে সেই দণ্ড কার্যকর করার জন্য দায়রা আদালতে অবশ্যই আবেদন করতে হবে। তখনই অভিযুক্ত তথা বন্দিকে নোটিস দিতে হবে। একই সঙ্গে তার আইনি অধিকার কী, তা জানাতে হবে। সেই সঙ্গে জানতে হবে, তার ক্ষমা প্রার্থনার কোনও আবেদন বিচারাধীন আছে কি না।
আরও পড়ুন: অভিযুক্তের দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করতে পথ নির্ধারণ করছে সুপ্রিম কোর্ট
বিচারপতি অভয় ওকা, বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহ ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসির ডিভিশন বেঞ্চে ২০১৯ সালে বোম্বে হাইকোর্টের দেওয়া একটি রায় চ্যালেঞ্জ করেছে মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার। ২০০৭ সালে পুনে বিপিও গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় ২ আসামির মৃত্যুদণ্ড হয়। ২০১৭ সালের ২৬ মে রাষ্ট্রপতি আসামিদের ক্ষমাপ্রার্থনার আর্জি খারিজ করে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি। ইতিমধ্যে ২০১৯ সালে বোম্বে হাইকোর্ট ওই দু’জনের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়।
রায় কার্যকর করায় দেরি করলে কী হয়, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এই মামলা। আসামি কোতল হওয়ার অপেক্ষায় থেকেও তা কার্যকর হয়নি। তাই রায় কার্যকর করায় দেরি মানা যাবে না। আবার এতগুলি বছর বাদে ফের রায় বদলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়াটা সঠিক কি না, তাও বিবেচনা করতে হবে।মন্তব্য বিচারপতি ওকার।
আরও খবর দেখুন