উত্তরকাশী: উত্তরকাশীতে (Uttarkashi) সুড়ঙ্গে (Tunnel) আটকে পড়া শ্রমিকদের এবার মাল্টিভিটামিন ও শুকনো ফল দেওয়া হল। গতকাল সুড়ঙ্গে (Tunnel) আটকে পড়া শ্রমিকদের মানসিক চাপ মুক্ত হওয়ার ওষুধ (Medicine) পাঠানো হয়। উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটদিন ধরে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধার করে আনাই লক্ষ্য। তবে তার জন্য বেশ কয়েক দিন সময় লাগবে। ফলে নতুন পরিকল্পনায় উদ্ধারের তোড়জোড়ের পাশাপাশি চেষ্টা চলছে শুকনো খাবার খেয়ে জীবনধারণ করে থাকা। ওই শ্রমিকদের ভাত-রুটি-তরকারি পৌঁছে দেওয়ার কাজ হচ্ছে। সে জন্য একটি পাইপ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে খসে পড়া পাথরের মধ্য দিয়ে। প্রায় ৬০ মিটার ধ্বংসস্তূপের ভিতরে সেই পাইপ ৪২ মিটারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে।
আজ সিল্কিয়ারায় দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী ও উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী। গডকড়ী জানান, হিমালয় অঞ্চলের ভূস্তর এক রকমের না হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। তাঁর দাবি, শক্তিশালী যন্ত্রে ধ্বংসস্তূপ খোঁড়ার সর্বশেষ যে চেষ্টা হয়েছিল, সেটাই ছিল উদ্ধারের দ্রুততম পদ্ধতি।
ড্রিলিং মেশিন যদি ঠিক থাকে কাজ করে তাহলে আর দুই থেকে আড়াই দিনের মধ্যে সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের বের করে আনা সম্ভব হবে। রবিবার দুপুরে উত্তরকাশির ধ্বসে আটকে যাওয়া সুড়ঙ্গের মুখে দাঁড়িয়ে এ কথা বললেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গাদকরি। উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামিকে নিয়ে আজ সুড়ঙ্গে উদ্ধার কাজ পরিদর্শন করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকদের প্রাণ বাঁচানো আমাদের লক্ষ্য। জোট তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁদের বের করে আনার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের চাপ মুক্ত হওয়ার ওষুধ দেওয়া হল
প্রায় ৬টি টিম যৌথভাবে উদ্ধারকাজ চালালেও এখনও সুড়ঙ্গপথের আলো দেখা যায়নি। তাই অবশেষে সেনাবাহিনীকে (Indian Army) তলব করা হয়েছে। তারা সুড়ঙ্গের মাথার দিক থেকে গর্ত করে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা শুরু করবে। সব থেকে বড় সমস্যা শ্রমিকদের কাছে খাদ্য, পানীয় জল, ওষুধ ও অক্সিজেন সরবরাহ করা হলেও যেখানে তাঁরা আটকে রয়েছেন, সেখানে পয়ঃপ্রণালীর ব্যবস্থা না থাকায় জায়গাটি দূষিত হয়ে উঠছে। এই অবস্থায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন অনেকেই।