মুম্বই: অভিযুক্তের হেফাজতে মৃত্যুতে মহারাষ্ট্র পুলিশের (Maharashtra Police) এনকাউন্টার তত্ত্ব নিয়ে প্রবল সংশয় প্রকাশ করল বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court)। হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে, কোনওরকম অসাধু কর্ম তো হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে, এই ঘটনাকে ‘এনকাউন্টার’ অ্যাখ্যা দেওয়া যাবে না। অভিযুক্ত অক্ষয় শিন্ডেকে জেল থেকে বের করার সময় থেকে শিবাজি হাসপাতালে মৃত ঘোষণা পর্যন্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে।
বদলাপুরের স্কুলে দুই নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত অক্ষয়ের পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্র পুলিশের দাবি, তালোজা জেল থেকে বের করে গাড়িতে তোলার সময় সহকারী ইনস্পেক্টর নীলেশ মোরের পিস্তল ছিনিয়ে নেয় অক্ষয়। তারপর পুলিশকর্মীদের দিকে গুলি চালায়। পুলিশের পাল্টা গুলিতে আহত হয় সে এবং হাসপাতালে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: কৃষি আইন নিয়ে মন্তব্যে দলের রোষে কঙ্গনা, চাইলেন ক্ষমা
বুধবার রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী ঘটনার এই ধারাবিবরণী দিতেই আদালত বলে, এটা বিশ্বাস করা কঠিন। প্রথম নজরেই মনে হচ্ছে অসাধু কাজ হয়েছে। রিভলভার যে কেউ চালাতে পারে কিন্তু একজন সাধারণ মানুষ পিস্তল চালাতে পারে না। একজন দুর্বল মানুষ পিস্তল লোডও করতে পারে না কারণ তাতে শক্তি লাগে।
অক্ষয়ের মৃত্যুতে পুলিশের এনকাউন্টার তত্ত্বে অবিশ্বাসের কারণে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তার বাবা আন্না শিন্ডে। তিনি চাইছেন, এই ‘ভুয়ো এনকাউন্টার’ কাণ্ডে তদন্ত করুক বিশেষ তদন্তকারী দল। সেই মামলার শুনানিতেই এদিন উচ্চ আদালতের এই পর্যবেক্ষণ।
বম্বে হাইকোর্ট আরও বলে, অভিযুক্ত শক্তিশালী মানুষ ছিল না, একটা গুলি চালানোর সঙ্গেই তাকে চেপে ধরতে পারতেন চার পুলিশকর্মী। একে এনকাউন্টার বলা যায় না, এটা এনকাউন্টার নয়। দুই বিচারকের বেঞ্চ বলে, চারজন পুলিশ মিলে একজনকে নিরস্ত করতে পারল না এটা আমরা মেনে নিতে পারছি না। তাছাড়া ইনস্পেক্টর সঞ্জয় শিন্ডে অক্ষয়ের কপালে না করে পায়ে গুলি করতে পারতেন। তাতে সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, ইনস্পেক্টর এসব ভাবেননি, তিনি ওই মুহূর্তের প্রতিক্রিয়ায় গুলি চালিয়েছেন।
দেখুন অন্য খবর: