আগরতলা: প্রশান্ত কিশোর (PK) বলেই আইপ্যাকের (IPAC) সদস্যদের ভয় পাচ্ছে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার। আগরতলা পৌঁছে সাংবাদিক সম্মেলন করে তোপ দাগলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ত্রিপুরায় বেশিদিন নেই আর বিজেপি সরকার। ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল। তাই ভয় পেয়ে এই মামলা রুজু করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। করোনা নেগেটিভ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই মামলা উঠছে সেই প্রশ্নও, দাবি তৃণমূলের। বুধবার আইপ্যাকের (IPAC) বিরুদ্ধে সমন পাঠালো ত্রিপুরা পুলিশ। বিপ্লব দেবের পুলিশের দাবি, এইভাবে করোনার সময় ত্রিপুরায় আইপ্যাকের দল এসে জাতীয় বিপর্যয় আইন লঙ্ঘন করেছে। তাই মামলা রুজু করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে মৃত ৪, নিরুদ্দেশ ৪০
IPAC এর ২৩ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) ১৮৮ নম্বর এবং ন্যাশনাল ডিজাস্টার আইন, ২০০২ এ মামলা রুজু হয়েছে। আগামী ১ অগস্ট তাঁদের সকলকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে আগরতলা কোর্টে। আইপ্যাকের টিমের সকলের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ। তা সত্বেও কীভাবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আইপ্যাকের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে আসার কথা রয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন: মোদি বিরোধী জোট গঠনে মমতার সঙ্গে বৈঠক সনিয়া গান্ধী, কেজরিওয়ালের
বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে সাফল্যের পর প্রশান্ত কিশোরের টিম আইপ্যাক পাড়ি দিয়েছে ত্রিপুরায়। সমীক্ষা করতে সেখানে পৌঁছলে আগরতলার একটি হোটেলে আটক করে রাখা হয় প্রশান্ত কিশোরের টিমকে। যদিও ত্রিপুরা সরকারের দাবি, প্রশান্ত কিশোরের টিম আই প্যাকের ২৩ জন সদস্যকে আটকে রাখা হয়নি। হোটেলে থাকাকালীন তাদেরকে আরটিপিসিআর টেস্ট করতে বলা হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছে, বিপ্লব সরকার ভয় পেয়ে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থাকে আটকেছে। অভিযোগ, তল্লাশির নামে রবিবার রাতে ত্রিপুরা পশ্চিম থানার পুলিশ হেনস্থা করে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থার সদস্যদের।