ওয়েব ডেস্ক: বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Assembly Election) আগে ভোটার তালিকা সংশোধনের (Special Intensive Revision) নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission Of India)। তবে ভোটাদের তালিকা সংশোধনের জন্য নাগরিকত্বের প্রমাণ (Proof Of Citizenship) দিতে হবে বিহারের ভোটারদের। সেই নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক অব্যাহত। কারণ, অনেকেই দাবি করছেন যে, ভোটার তালিকা সংশোধনের আড়ালে এনআরসি-র (NRC) কার্যসিদ্ধি ঘটাতে চাইছে কেন্দ্র। আর এবার নির্বাচন কমিশনের এই সংশোধনী প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হলেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক যোগেন্দ্র যাদব (Yogendra Yadav)।
জানা গিয়েছে, শনিবার বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়া স্থগিতের দাবি জানিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন যোগেন্দ্র যাদব। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ ‘ইচ্ছাকৃত এবং অবিচারসুলভ’। মামলায় তিনি আরও দাবি করেছেন, এটি রাজ্যের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার পথ প্রশস্ত করতে পারে।
আরও পড়ুন: ভুতুড়ে শ্রমিক ও লাখ টাকার দুর্নীতি! ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যে এ কী অবস্থা!
যোগেন্দ্র যাদবের যুক্তি, নির্বাচনের কয়েক মাস আগে হঠাৎ করে সম্পূর্ণ ভোটার তালিকা নতুন করে যাচাই করার মোটেই সঙ্গত নয়। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা পিটিশনে আরও বলা হয়েছে, এই বর্ষার মধ্যে কমিশনের নির্ধারিত ৯০ দিনের যাচাই প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন ঘটানো অত্যন্ত কঠিন। অনেক দরিদ্র ও প্রান্তিক নাগরিকের বার্থ সার্টিফিকেট, জমির কাগজ বা পরিচয়পত্র কাছে নাও থাকতে পারে। ফলে তাঁদের এই প্রক্রিয়ায় বাদ পড়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে দাবি যাদবের।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, ২৫ জুন থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত বিহারজুড়ে এই বিশেষ তালিকা যাচাই অভিযান চলছে। এই সময়ের মধ্যে রাজ্যের ৭.৮ কোটিরও বেশি ভোটারের তথ্য যাচাই করার কাজ করছে ৭৭,০০০-রও বেশি বুথ স্তরের অফিসার, সরকারি কর্মচারী এবং রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
দেখুন আরও খবর: