রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikari) ‘সুস্থতা’ কামনা করে ফুল, গ্রিটিংস কার্ড পাঠালেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmick)। তবে সেটা কোনও রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে নয়, একটি কলেজের ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের (Platinam Jubilee) আগে মন্ত্রীর ওই কার্ড পাঠানো নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। কলেজের অধ্যক্ষ এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারাও উপস্থিত ছিলেন ওই অনুষ্ঠানে। ছাত্রছাত্রীরা তো ছিলেনই। মন্ত্রীর দাবি, পড়ুয়াদের অনুরোধেই তিনি এই কার্ড, ফুল পাঠালেন।
পার্থ ভৌমিক বলেন, শুভেন্দু যেভাবে ভুলভাল বকছেন, উল্টোপাল্টা কথা বলছেন, তিনি মানসিকভাবে সুস্থ নন, অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সুস্থতা কামনা করতেই আমাদের তাঁর পাশে দাঁড়ানো উচিত। আমরা লাগাতার এই কর্মসূচি চালিয়ে যাব এবং গোলাপ ফুল গ্রিটিংস কার্ড দিয়ে তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করব। আজ কলেজে আসামাত্রই ছাত্র-ছাত্রীরা আমাকে কলেজের গেটের কাছে ঘিরে ধরে। তাদের হাতে ছিল পোস্ট কার্ড আর ফুল। বিরোধী দলনেতাকে বাই পোস্টে অর্থাৎ তাঁর ঠিকানায় এগুলি পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ জানায় তারা। পরে মন্ত্রী বলেন, আমি ওদের দাবির সঙ্গে মানসিকভাবে একমত। তাই ওদের দাবিকে মান্যতা দিয়েছি।
আরও পড়ুন: Salim on Central Grants: কেন্দ্রের বরাদ্দ, রাজ্যের খরচ নিয়ে শ্বেতপত্রের দাবি সিপিএমের
তবে কলেজের অনুষ্ঠানে এভাবে সরাসরি রাজনীতি (Politics) ঢুকে পড়া কি আদৌ সমীচীন, সে প্রশ্ন উঠছেই। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসিরহাট কলেজের (Basirhat College) অধ্যক্ষ ডঃ অশোককুমার মণ্ডল, অন্যান্য অধ্যাপক অধ্যাপিকা এবং কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক রং যথেষ্টই ছিল। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য তৃণমূল (TMC) যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বাদল মিত্র, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি শমীক রায় অধিকারী, বসিরহাট তৃণমূল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল ছাত্রনেতা অভিষেক মজুমদার। ছাত্র ইউনিয়ন এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, অনুষ্ঠান মঞ্চে কিছু হয়নি, যা হয়েছে তা বাইরে।