বুধবার কেন্দ্রীয় বাজেটে (Union Budget) পরিবেশবান্ধব হাইড্রোজেন ট্রেনের (Hydrogen Train) কথা উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। হাইড্রোজেন চালিত ট্রেনগুলির নাম দেওয়া হয়েছে 'বন্দে মেট্রো'। প্রাথমিকভাবে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে, নীলগিরি মাউন্টেন রেলওয়ের মতো রুটে চলবে এই ট্রেন। (প্রতীকী ছবি)
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে এই ধোঁয়াহীন ট্রেন তৈরি হয়ে যাবে বলে খবর। কালকা-সিমলার ঐতিহাসিক রুটে সবার আগে ছুটবে এই ট্রেন। পরবর্তী ধাপে দার্জিলিং পাহাড়েও ছুটবে হাইড্রোজেন ট্রেন। তবে এই সবের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বদলে যাবে বাঙালির প্রিয় টয় ট্রেনের চেহারা? এখনও পর্যন্ত অবশ্য সে প্রশ্নের জবাব মেলেনি। (প্রতীকী ছবি)
আসুন জেনে নেওয়া যাক, হাইড্রোজেন ট্রেন কী?
ডিজেল ইঞ্জিনের পরিবর্তে হাইড্রোজেন ফুয়েল সেলের মাধ্যমে এই ট্রেন চলবে। হাইড্রোজেন ফুয়েল সেলে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের রূপান্তর ঘটিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। সেই বিদ্যুৎ ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রে ব্যাবহার হবে। হাইড্রোজেন চালিত এই প্রযুক্তি সারা বিশ্বে খুবই কম। এই ট্রেন চালানোর খরচই হল এর সবচেয়ে বড় বাধা। এই জাতীয় ট্রেনের মাধ্যমে সবুজায়নের বার্তা দিচ্ছে ভারত। (প্রতীকী ছবি)
ওই বিদ্যুতের মাধ্যমেই হাইড্রোজেন ট্রেনের মোটর চালিত হয়। এর ফলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা বিভিন্ন এলাকার ট্রেনগুলি আরও পরিবেশবান্ধব হবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ব্যবস্থায় ট্রেনে কোনও ধোঁয়া হবে না। ফলে প্রকৃতি অনেকটাই দূষণমুক্ত থাকবে। (প্রতীকী ছবি)
যাঁরা পাহাড় এবং নির্জনতা ভালোবাসেন তাঁরা অনেকেই এখন খোঁজ করেন দার্জিলিংয়ের অফবিট ডেস্টিনেশন। প্রতিটি ঋতূতেই অন্যরকম রূপ নেয় মোহময়ী দার্জিলিং। (প্রতীকী ছবি)
দার্জিলিং মানেই হল বাঙালির আবেগ। পাইন বনের গা বেঁয়ে লুকোচুরি পথ, চা বাগান, মনাস্ট্রি, ম্যালে বসে সময় কাটানো। চায়ে চুমুক, প্রবল শীতে কাঁপতে কাঁপতে টাইগার হিলের সূর্যোদয় দেখা। (প্রতীকী ছবি)
সেইসঙ্গে কুয়াশা ও মেঘের খেলা তো চলতেই থাকে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাঙালিকে মুগ্ধ করে চলেছে দার্জিলিং। এই পাহাড়ে আরও একটি আকর্ষণ হল ট্রয় ট্রেন। এবার সেই ট্রয় ট্রেনই হবে ধোঁয়াহীন। (প্রতীকী ছবি)
শেয়ার করুন