কলকাতা: ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। চীনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বেড়েই চলেছে। এই সময়ে শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়, ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই ডায়াবেটিক রোগীকে খাদ্য, শারীরিক কার্যকলাপ এবং ঘুমের সময় নিয়ে সতর্ক থাকার সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এমন খাবারও খেতে হবে। কী সেগুলি দেখে নিন
সাইট্রাস ফল
সাইট্রাস ফল সাধারণত শ্বেত রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়ায়। এর ফলে শরীরে সংক্রমণ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে যায় মানুষের। বাতাবি লেবু, কমলা লেবু, তেঁতুল, লেবুর মতো ফল পুষ্টির ক্ষেত্রে বিরাটভাবে কাজ করে। তবে রস করে খাওয়ার চেয়ে আঁশযুক্ত পুরো ফল খাওয়াই ভাল। এই মহামারিতে এই জাতীয় ফল খাওয়া খুবই জরুরি ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে।
পেঁয়াজ এবং রসুন
পেঁয়াজ এবং রসুনেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। রসুনে থাকা সালফিউরিক যৌগও শরীরের প্রাকৃতিক ডিটক্সিফিকেশন সিস্টেমের উন্নতি করে। এক্ষেত্রে করোনা বা অন্য কোনও ভাইরাস থেকে বাঁচতে যথেষ্ট উপকারি।
চবনপ্রাশ
চবনপ্রাশ মানুষের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে সাহায্য করে। এই আয়ুর্বেদিক আমলা, অশ্বগন্ধা, গিলয়, মুলেঠি, পিপ্পলি ইত্যাদির মতো ৪১টি আয়ুর্বেদিক ভেষজের সমন্বয়ে শরীরে উমিউন সিস্টেমকে বাড়াতে সাহায্য করে। সুগারের রোগীদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সুগার ফ্রি।
ডিম
ডায়বেটিকরা প্রাতরাশে ডিম খেতে পারেন। ডিমে প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন যেমন থাকে তেমনি আবার ক্যালোরির মাত্রা ডিমে খুবই কম। এর ফলে ডিম একদিকে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে তেমন আবার সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে ডিম খুবই উপকারী।
আখরোট
আখরোট মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং কার্যকরিতা বাড়াতে খাওয়া হলেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও এর জুড়ি নেই। স্বাস্থ্যকর চর্বির কারণেই এটা অনন্য। রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ই।
ইয়গহার্ট বা টক দই
ইয়গহার্ট বা টক দইয়ে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে আর ঠিক ততটাই কম থাকে চিনি। কারণ ফার্মেন্টেশন প্রসেসে ল্যাক্টোস সুগার পুরোপুরি ব্যবহার করে নেয় ব্যাক্টেরিয়া। তাই এতে চিনির মাত্রা খুবই কম থাকে।
শেয়ার করুন