কলকাতা: সকাল থেকে প্রবল রোদ (Sun Light) আর বেলা বাড়লেই রোদের তাপে (Heat Wave) শরীরে যেন জ্বালা ধরে যাচ্ছে। মরুরাজ্যের অনুভূতি কলতাকার বুকেই অনুভূত হচ্ছে। এই হাঁসফাঁস দশা মন বসছে না কাজেও। গরমের ক্লান্তি কাটাতে শহরের কোলাহল থেকে দূরে একটু নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটাতে চাইছেন অনেকে। তাহলে আর দেরি কেন, সপ্তাহান্তের ছুটিতে ঘুরে আসুন পূর্ব মেদিনীপুরের গেঁওখালি (Geonkhali) থেকে
তিনটি নদীর সঙ্গমস্থল গেঁওখালি। একদিক থেকে রূপনারায়ণ, অন্য দিক থেকে হলদী এবং অপর দিক থেকে হুগলি নদী এসে মিলিত হয়েছে এই জায়গায়। ছোট ছোট মালবাহী জাহাজের যাওয়া-আসা দেখতে দেখতে ঠান্ডা হাওয়ায় মন প্রাণ জুড়িয়ে নেওয়ার জন্য আদর্শ জায়গা এই গেঁওখালি।
প্রচারে আলোয় তেমন না পড়ায় এখনও একান্তে উপভোগ করা যায় গেঁয়োখালির সঙ্গমের সৌন্দর্য৷ সঙ্গমের এই অতুলনীয় রূপ আরও মোহময়ী হয়ে ওঠে বর্ষামধুর দিনে৷ সাক্ষী থাকে সারিবদ্ধ বাবলা, শিরিষ, আকাশমণিদের দল। এদের মাঝেই নিতে পারেন দুই দণ্ডের বিশ্রাম৷ বিকেলে সূর্যাস্তের ঝলক ভাষায় অবর্ণনীয়৷
গেঁওখালির কাছেই রয়েছে পর্তুগীজ পাড়া। এবং তাদের প্রাচীণ চার্চ। গেঁওখালিতে ঠান্ডা বাতাসে মন প্রাণ জুড়িয়ে নেওয়ার পর, বেরিয়ে পড়ুন ইতিহাস সমৃদ্ধ মহিষাদলের উদ্দেশ্যে। মহিষাদল রাজবাড়ি, রাজবাড়ি সংলগ্ন আম্রকুঞ্জ, জাপানি পদ্ধতিতে মিওয়াকি ফরেস্ট, গোপাল জিউর মন্দির। কিছুটা দুরে গান্ধীজির পদধূলি ধন্য গান্ধী কুটির। মহিষাদলের রথতলা
এ ছাড়া কাছেপিঠে গোপালপুরে রয়েছে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রথম সর্বাধিনায়ক সতীশ সামন্তের জন্মস্থান ও বসতবাড়ি। গরমের ছুটিতে নির্মল খোলা প্রকৃতির মাঝে ঠান্ডা হাওয়ায় মন প্রাণ জুড়িয়ে নিতে চলে আসুন গেঁওখালি।
কীভাবে জাবেন? কলকাতা থেকে গেঁওখালির দূরত্ব ১১৫ কিলোমিটার। মেছেদা থেকে গেঁওখালির দূরত্ব ৪১ কিলোমিটার। হলদিয়া থেকে গেঁওখালির দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। হাওড়া-হলদিয়া লোকালে চেপে সতীশ সামন্ত রেল স্টেশনে নেমে টোটো, অটো বা বাসে করে যাওয়া যায় গেঁওখালিতে। আবার মেছেদা থেকে হলদিয়াগামী ভায়া তমলুক বাসে চেপে মহিষাদল সিনেমা মোড় বাস স্টপেজে নেমে গেঁওখালি যাওয়া যায়। গেঁওখালির রুটে বাস চলাচল করে। গেঁওখালি থেকে হাওড়া জেলার গাদিয়াড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার নূরপুর জলপথে ফেরি সার্ভিস রয়েছে প্রতিদিন।
শেয়ার করুন