তাপপ্রবাহের জেরে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় হিট স্ট্রোকে পর পর মৃত্যুর খবর উঠে আসছে। এদিকে, উত্তর ভারতের একাধিক এলাকায় টানা তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি রয়েছে। অনেকেই রোদের থেকে বাড়িতে ফিরে প্রথমেই ঢকঢক করে ঠান্ডা জল খেয়ে ফেলেন। এতে যেমনঠান্ডা বসে যায় তেমনই স্ট্রোকের সম্ভাবনাও বেড়ে যায় অনেকখানি। হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করবেন দেখে নেওয়া যাক।
শরীরের তাপমাত্রা যখন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বাইরে চলে যায় তখনই কিন্তু একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা অনেক বেশি হয়। কারণ তাদের শরীর হঠাৎ এই তাপমাত্রার পরিবর্তন মেনে নিতে পারে না। তাদের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়ে।
আমাদের শরীরের ৭০ শতাংশই হল জল। আর গরমে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা অনেক বেশি হয়। শরীরের প্রয়োজনীয় ফ্লুইড তাড়াতাড়ি শশুকিয়ে যায়। সেই সঙ্গে ঘাম বেশি হয়। যদি রোদে বেরোতেই হয় তাহলে সঙ্গে অবশ্যই নুন চিনির জল বেশি করে খান।
হিটস্ট্রোকের প্রাথমিক লক্ষণ ও উপসর্গ:
মাথা ঘোরা নিম্ন বা উচ্চ রক্তচাপ শুষ্ক ত্বক বমি বমি ভাব, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ায়, দ্রুত শ্বাস–প্রশ্বাস।
হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী কী করবেন?
তেষ্টা না পেলেও জল পান করতে থাকুন। হালকা জামাকাপড়, টুপি, সানগ্লাস ব্যবহার করুন। পা ঢাকা জুতোর জায়গায় পা খোলা চটি পড়ে বেরনোর চেষ্টা করুন। রোদ থেকে ফিরে চা, কফি, সফ্ট ড্রিঙ্ক পান করা থেকে বিরত থাকুন। এসি থেকে সরাসরি রোদে বেরোবেন না। হালকা খাবার খান। তেল-মশলা যত বেশি এড়িয়ে চলতে পারবেন ততই ভাল।
শেয়ার করুন