কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: অগ্নিপথ আসলে বিজেপির ক্যাডার তৈরি চেষ্টা। সেনা প্রশিক্ষণ নয়, অস্ত্র প্রশিক্ষণ। দেশকে রক্ষা করার জায়গায় বিজেপির কিছু গুন্ডা তৈরি করার চেষ্টা চলছে। সোমবার বিধানসভার অধিবেশনে অগ্নিপথ নিয়ে এই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বিধানসভার অধিবেশনে মমতা এদিন বলেন, ছাত্র-যুবদের চাকরি দাও। মাথায় তুলে রাখব। কিন্তু বিজেপি তা করছে না। অগ্নিপথ প্রকল্পে প্রশিক্ষিতদের দিয়ে দিয়ে বিজেপি ভোট লুট করাবে। পার্টি অফিসে পাহারার কাজে রাখবে। গুন্ডা তৈরি করতেই চার বছরের এই ললিপপ দিয়েছে ওরা। চার বছর পর তো এদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্রের অনুমোদন থাকবে। তার পর এরা কী করবে? অগ্নিপথ আসলে চার বছরের ললিপপ।
মমতা আরও বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভাইবোনদের বলব, বিজেপির এই প্ররোচনায় পা দেবেন না। ওরা একটা জিনিসে রং করে মোড় ঘুরিয়ে দিতে এটা করছে। যারা এটা করেছে, তাদের গ্রেফতার করা উচিত ছিল। আমরা সেটা করেছি। বিজেপি লক্ষ্য করে মমতার এই শান দেওয়া আক্রমণে উত্তেজিত হয়ে পড়েন গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। হইহট্টগোল, ওয়েলে নেমে পড়া, অবশেষে ওয়াকআউট করে বেরিয়ে যান তাঁরা।
আরও পড়ুন: Nupur Sharma: হাজিরার জন্য সময় চেয়ে কলকাতা পুলিসকে চিঠি নূপুরের
অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় উত্তাল গোটা দেশ। বিহার, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে পথে নেমেছেন হাজার হাজার যুবক। অবিলম্বে এই প্রকল্প প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। রবিবার এনিয়ে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, দেশের নাগরিকদের ভালোর জন্য সরকার নানা প্রকল্পের পরিকল্পনা করে। তাতে রাজনীতির রং লেগে গেলে আসল উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়।
মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং অগ্নিপথ প্রকল্পের সূচনা করেন। এই প্রকল্পের অধীনে সাড়ে ১৭ থেকে ২৩ বছরের ভারতীয় তরুণ-তরুণীদের চার বছরের জন্য সেনা বাহিনীতে নিয়োগ করা হবে। বছরে ৪৫ হাজার তরুণ-তরুণীকে নেওয়া হবে অগ্নিপথ প্রকল্পে। মেয়াদ শেষে ২৫ শতাংশ সেনাকে সরাসরি সেনা বাহিনীতে স্থায়ী পদে যোগদান করা হবে। বাকি ৭৫ শতাংশকে এককালীন আর্থিক সাহায্য করে কার্যত বিদায় দেওয়া হবে।