কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: রাজ্য বিধানসভায় সোমবার নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে দাদামণি বলে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা জবাব দিলেন শুভেন্দুও। বিধানসভার লবিতে তিনি বললেন, আমাকে কেন উনি দাদামণি বলবেন। আমি ওনার থেকে বয়সে অনেক ছোট। উনি হয়ত ওনার দাদার কথা বলেছেন, যেই দাদার হাওড়ায় রঙের কারখানা আছে।
এদিন বিধানসভায় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির প্রসঙ্গ ওঠে। এর আগে শুভেন্দু একাধিকবার বলেছিলেন, প্রাথমিকে আরও বড় কেলেঙ্কারি হয়েছে। ২০১৭ সালে ১৭ হাজার লোককে বেআইনিভাবে প্রাথমিকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। শুধু ৩০০, ৪০০ লোকের চাকরি গেলে চলবেনা। আদালতকে ১৭ হাজার লোককে বরখাস্ত করতে হবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ওরা বলছে, ১৭ হাজার লোকের চাকরি খেয়ে নেবে। আমি ওদের সব বিজেপি নেতাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেব। পাল্টা লবিতে শুভেন্দু বলেন, লাখ লাখ ছেলেমেয়ে চাকরি না পেয়ে রাস্তায় বসে আছে। ওদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করব। সামলাতে পারবেন তো?
মমতা বলেন, এক নেতার কল্যাণে মন্দারমনির নাম হয়ে গিয়েছে দাদামণি। আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করি, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদের কত লোককে আপনি চাকরি দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বলে?
শুভেন্দু লবিতে বলেন, আমি চাকরি দেওয়া তো দূরের কথা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে একটি ব্ল্যাকবোর্ডও চাইনি। চাকরি দেওয়ার কথা প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি করা ছেড়ে দেব। তিনি বলেন, আমি রবীন্দ্র ভারতী থেকে পাশ করেছি। ওনার মতো ভুয়ো জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুয়ো ডিগ্রি নিয়ে প্রচার করিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীনই শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা ওয়াক আউট করেন।