আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বিধাননগর পুরসভার ৩৫ এবং ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে অবৈধ নির্মাণ এবং পুকুর ভরাট হচ্ছে বলে এলাকায় পোস্টার পড়ল। সুকান্তনগর লোহাপুর এলাকায় এ ধরনের পোস্টার দেখা যায় মঙ্গলবার সকালে। সেখানে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জয়দেব নস্কর এবং ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চামেলি নস্করের মদতে এই কাজ চলছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। পোস্টারের নীচে লেখা রয়েছে, বিক্ষুব্ধ তৃণমূল। এই পোস্টার ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। যদিও চামেলির দাবি, এখানে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল বলে কিছু নেই। এই পোস্টার লাগানোর পিছনে বিজেপির ইন্ধন আছে। অভিযোগ মানতে নারাজ জয়দেবও। বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর দেবাশিস জানা বলেন, এখানে বিজেপি কোথা থেকে এল। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপিতে তৃণমূলের মতো দুর্নীতিগ্রস্ত কার্যকর্তা নেই। তাঁর আরও অভিযোগ, শুধু ওই দুই ওয়ার্ডেই নয়, বিধাননগরের সর্বত্র বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
ওই পোস্টার আরও লেখা হয়েছে, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তান কাউন্সিলর ৭৫ শতংশ পুকুর ভরাট করেছেন। বাকি ২৫ শতাংশ ভরাট করেছেন বর্তমান কাউন্সিলর চামেলি নস্কর। এই সব দুর্নীতি বন্ধ করা হোক।
আরও পড়ুন: Demonitisation in India: নোটবন্দির জেরে ছয় বছর পরেও সমস্যায় দেশের অর্থনীতি, তোপ বিরোধীদের
চামেলি বলেন, বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কারা, আমি জানি না। টিভিতে দেখলাম, কিছু বিজেপি নেতা ভাষণ দিচ্ছেন। আমি বলছি, আড়ালে না থেকে প্রকাশ্যে এসে পোস্টার দিন, বড় করে ব্যানার দিন। তাঁর দাবি, বেআইনি নির্মাণের কোনও প্রশ্নই ওঠে না। আমি বেআইনি নির্মাণের বিপক্ষে। সেটা পুলিশও ভালোমতোই জানে।
জয়দেব বলেন, আমার ওয়ার্ডে কোনও পুকুর নেই। তবে অবৈধ কিছু নির্মাণ হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কিছু ব্যবসায়ী অবৈধ নির্মাণ শুরু করেন। আমি লিখিতভাবে বিধাননগর দক্ষিণ থানা, মেয়র, পুর কমিশনারকে জানিযেছি। বিজেপির দাবি, আর পাঁচটা জায়গার মতো বিধাননগরেও তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। এই পোস্টার তারই পরিণতি।