ওয়েব ডেস্ক: বুধবার দুপুরে বড়সড় চমক দিল নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) দল জনতা দল ইউনাইটেড (JDU)। অশান্ত মণিপুরের (Manipur) এন বীরেন সিংহের নেতৃত্বাধীন বিজেপি (BJP) সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার ঘোষণা করে রাজ্যের জেডিইউ নেতারা। তবে বিকেলের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত বদল হয়ে যায়। কয়েকঘন্টার মধ্যে জেডিইউ স্পষ্ট করে জানায়, তাঁরা মণিপুরে বিজেপি সরকারের থেকে সমর্থন তুলছে না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাতীয় এবং রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আসলে বুধবার দুপুরেই মণিপুর জেডিইউ-এর রাজ্য সভাপতি কেশ বীরেন সিং বুধবার রাজ্যপাল অজয়কুমার ভল্লাকে চিঠি দিয়ে জানান, বিজেপি সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে জেডিইউ। একই চিঠি পাঠানো হয় মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এবং বিধানসভার স্পিকারকেও। কেশ বীরেনের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেডিইউ ছ’টি আসনে জিতলেও পাঁচজন বিধায়ক পরবর্তীতে বিজেপিতে যোগ দেন। এর পরেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এই অভিযোগকে সামনে রেখে বিজেপি সরকারের থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ‘মধ্যবিত্তদের কথা ভেবে বাজেট করুন’, ৭ দাবিতে মোদি সরকারকে চ্যালেঞ্জ কেজরির
এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই জেডিইউ-এর শীর্ষ নেতৃত্ব আসরে নামে। এরপর মণিপুর ইউনিট প্রেসিডেন্টকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেয় জেডিইউ-এর কেন্দ্রীয় কমিটি। এর পাশাপাশি, দলের তরফে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, বিজেপি সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়া হচ্ছে না।
যদিও জেডিইউ সমর্থন প্রত্যাহার করলে মণিপুরের বিজেপি সরকারের উপর কোনও প্রভাব পড়ত না। কারণ ৬০ আসনের মণিপুর বিধানসভায় বিজেপির নিজস্ব ৩৭ জন বিধায়ক রয়েছেন। সঙ্গে নাগা পিপল্স ফ্রন্টের পাঁচ বিধায়ক এবং তিন জন নির্দল বিধায়কের সমর্থনও রয়েছে। ফলে অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হলেও বীরেন সিংয়ের সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে সক্ষম।
দেখুন আরও খবর: