পর্দার ‘সত্যজিৎ’ জিতু কমল ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’র মতো ছবিতে অভিনয় করছেন। চরম ব্যস্ততা, তার মধ্যেই কলকাতা টিভি অনলাইনের প্রতিনিধি ঐন্দ্রিলা ঘোষের সঙ্গে পুজো নিয়ে আড্ডা দিলেন জিতু।
ঐন্দ্রিলা: কেমন আছো? পুজো তো এসে গেল… পুজোয় এবার প্ল্যান কি?
জিতু কমল: পুজোর প্ল্যান বলে সেরকম কিছু নেই। বাড়ির লোকের সঙ্গেই কাটাই। সেরকম ভাবে খুব একটা মজা করিনি পুজোতে কোনও দিন।
ঐন্দ্রিলা: তাহলে কি পুজোতে বাড়িতেই থাকো?
জিতু কমল: হ্যাঁ, মা বাবা, বউ পাড়ার বন্ধুবান্ধব এদের সঙ্গেই কাটাই। পুজোয় বাড়িতে থাকতেই বেশি ভালো লাগে।
ঐন্দ্রিলা: সামনে তো তোমার হাতে অনেকগুলো প্রজেক্ট, তা এখন কি কলকাতাতেই?
জিতু কমল: না, এখন একটা প্রজেক্টের কাজে কলকাতার বাইরে আছি।
ঐন্দ্রিলা: তাহলে ফিরে এসে পুজোর কেনাকাটা শুরু হবে ?
জিতু কমল: না, পুজোর জন্য আলাদা করে তেমন একটা কেন হয় না। সারা বছরই তো কিনতে থাকি। নবনীতা আবার খুব কেনাকাটা করে। (জিতু কমলের স্ত্রী নবনীতা মণ্ডল)
ঐন্দ্রিলা: পুজোয় প্যান্ডেল হপিং হয়?
জিতু কমল: না, সেটা কোনও দিনই ভালো লাগত না। আমার আবার পুজোর আগে প্রস্তুতিটা খুব ভালো লাগে। এইতো সেদিন নবনীতার সঙ্গে প্ল্যান করছিলাম কলকাতায় ফিরে কুমোরটুলি ঘুরে আসব। আসলে আমার পুজোর ওই কটা দিনের থেকেও বেশি প্রিয় পুজোর আগের প্রস্তুতিটা। কুমোরটুলিতে প্রতিমা তৈরি, চারিদিকে আলোর রোশনাই, কলকাতা জুড়ে ব্যানার, পোস্টার ওই যে ছবিটা, সেটা আমার খুব ভালো লাগে।
ঐন্দ্রিলা: শুনেছি জিতু নাকি খুব খেতে ভালোবাসে, তা পুজোয় কি চুটিয়ে খাওয়াদাওয়া হবে নাকি একই ডায়েট ফলো করবে?
জিতু কমল: পুজোর সময় একেবারেই ডায়েট নয়। ওই সময় বাড়িতে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া চলে। আর আমি সব রকম খাই। খুব একটা ডায়েট মেনে চলতে পারি না।
ঐন্দ্রিলা: শেষ প্রশ্ন তোমার অনুরাগী আর কলকাতা টিভির অনলাইন দর্শকদের জন্য পুজোতে কি বার্তা দিতে চাও?
জিতু কমল: শারদীয়ার অনেক শুভেচ্ছা সকলকে। বড়দের প্রণাম, ছোটদের ভালোবাসা। করোনা বিধি মেনে সাবধানে পুজো কাটান সবাই।