কলকাতা: ভারতবর্ষ (Temple) একটি ঐতিহ্যবাহী ও প্রাচীন দেশ। দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে সভ্যতার নানা নিদর্শন। রয়েছে নানা ধর্মীয় স্থান, দেব-দেবীর মন্দির (Temple)। পুণ্য অর্জনের আশায় অনেকেই সেই সমস্ত মন্দিরে গিয়ে মাথা ঠুকে আসেন। এই সকল মন্দিরগুলিকে ঘিরে যেমন জনশ্রুতি রয়েছে ঠিক তেমনই রয়েছে ইতিহাস। যা শুনলে চোখ কপালে উঠে যায় অনেকের। এমনই একটি মন্দির উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) শ্রীনগর (ধরি দেবী মন্দির) থেকে অল্প দূরে অবস্থিত। এই মন্দিরের বিশেষত্ব হল, নিত্যদিনই কোনও না কোনও অলৌকিক ঘটনা ঘটে চলছে।
উত্তরাখণ্ডের এই মন্দিরের নাম ধরি দেবী মন্দির। দেবীর মূর্তিটি সকালে দেখতে লাগে এক্কেবারে মেয়ের মতো, এরপরে বিকেলে এক যুবতীর মত এবং অবশেষে সন্ধ্যায় এক বৃদ্ধ মহিলার মতন। ধরি দেবীর মন্দিরটি হ্রদের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত। দেবী মায়ের এই মন্দিরটিকে ঘিরে ওখানকার স্থানীয়দের বিশ্বাস, ধরি মা উত্তরাখণ্ডের চার ধামকে সুরক্ষা প্রদান করেন। পাশাপাশি বলা হয়ে থাকে, ধরি মা তীর্থযাত্রীদের অভিভাবক দেবী।
আরও পড়ুন:Tipu Sultan Sword | নিলামে বিক্রি হল টিপু সুলতানের বিখ্যাত তরোয়াল, কত দাম জানেন?
তবে ধরি মায়ের মন্দিরটিকে ঘিরে এক জনশ্রুতি রয়েছে। বলা হয়ে থাকে, অনেককাল আগে একবার ভয়ানক বন্যা হয়েছিল। সেই বন্যায় অনেক কিছু ভেসে যাওয়ার পাশাপাশি, এক মন্দির ভেসে যায়। ঠিক সেইসময়ই মন্দিরের উপস্থিত দেবী প্রতিমাটিও ভেসে উঠেছিল এবং আশেপাশের কোন এক পাথরের সাথে ধাক্কা খেয়ে থেমেছিল। সেইসময়ই দেবী প্রতিমা থেকে এক দৈব কণ্ঠস্বর ভেসে এসেছিল। তাতে দেবী প্রতিমা নির্দেশ দিয়েছিলেন, তার প্রতিমাটি যথাস্থানে মন্দির বানিয়ে প্রতিষ্ঠা করতে। এরপরে, সকল গ্রামবাসীরা মিলে মন্দির নির্মাণ করে দেবী প্রতিমাটি স্থাপন করেন।
ওখানকার পুরোহিতরা মনে করেন যে, মায়ের মন্দির স্থাপন হয়েছে দ্বাপর যুগের পর থেকে। ওখানকার স্থানীয়দের কথায়, ২০১৩ সালে ধরি মায়ের মন্দিরটি ভেঙে ফেলা হয়েছিল ও দেবী প্রতিমার আসল জায়গা থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যার কারনে নাকি, সেই বছর বন্যা হয়েছিল উত্তরাখণ্ডে। স্থানীয়রা মনে করেন, দেবী প্রতিমাটি ১৬ই জুন ২০১৩ সালে সন্ধে নাগাদ সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওই রাজ্যে বিপর্যয় নেমে এসেছিল। পরে পুনরায় মন্দির তৈরি করা হয় আগের জায়গায়।
শেয়ার করুন