কোচবিহার: মাথাভাঙ্গা ১ নং ব্লকের জোরপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের মেন্দারপার এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে মদ্যপ অবস্থায় মান্টু বর্মন এবং অজয় বর্মনের বচসা বাধে। এমত অবস্থায় তৃণমূল কর্মী সঞ্জয় বর্মন তাদেরকে বাধা দেয়। সেই সময় সঞ্জয়ের উপর আক্রমণ চালায় তারা। জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে সেই তৃণমূল কর্মী। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় ওই দুই রাজমিস্ত্রি মান্টু বর্মন এবং অজয় বর্মনকে গ্রেফতার করেছে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ। মাথাভাঙ্গায় সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানালেন কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য্য।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের উত্তপ্ত কোচবিহার। এই পরিস্থিতিতে কোচবিহারে ফের তৃণমূল কর্মী খুনের অভিযোগ। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে কোচবিহারের জোরপাটকি এলাকায় মনসা পুজোর নিমন্ত্রণে গিয়েছিলেন সঞ্জয়। সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাড়ি ফিরবেন বলে ঠিক করেন তিনি। সেই সময় ওই পুজোর বাড়িতে দুই ব্যক্তির মধ্যে অশান্তি চলছিল। সঞ্জয় মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলতেই অভিযুক্ত অজয় বর্মনের রাগ গিয়ে পড়ে তাঁর উপর। সঙ্গে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে শুরু করে সঞ্জয়কে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন যুবক।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণনগর কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য, প্রেমিকের গোটা পরিবার শামিল খুনে
তড়িঘড়ি সঞ্জয়কে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল এলাকায়। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।
দেখুন খবর: