মালদহ: কালিয়াচকের (Kaliachak) নওদা যদুপুর অঞ্চলে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ শুট আউটে এক তৃণমূল কর্মীর খুনের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মহম্মদ রিয়াউল ওরফে রেজাউল। বাড়ি নওদা যদুপুর অঞ্চলের নয়াগ্রাম এলাকায়। বুধবার রাতে পুলিশ তাকে কালিয়াচকের শেরশাহী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে দশ দিনের পুলিশ হেপাজত চেয়ে পেশ মালদহ জেলা আদালতে (Malda District Court) পেশ করা হয়েছিল।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কালিয়াচকের নওদা যদুপুর অঞ্চলের দারিয়াপুর মোমিনপাড়ায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, শুট আউটের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা জাকির সেখ এবং তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বকুল সেখের গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, শুট আউটের ঘটনা ঘটে। যার জেরে হাসা সেখ নামে এক তৃণমূল কর্মীর গুলিতে মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বকুল সেখ এবং তার ভাই তথা প্রাক্তন অঞ্চল প্রধান এসারুদ্দিনকে সেখের মাথা থেঁতলে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে কালিয়াচক থানার পুলিশ প্রথমে একজনকে গ্রেফতার করে। এরপর ঘটনার মূল অভিযুক্ত জাকির সেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরপর বুধবার রাতে পুলিশের জালে ধরা পড়ে ঘটনায় জড়িত আরও একজন। তার নাম মহম্মদ রিয়াউল ওরফে রেজাউল।
আরও পড়ুন: জাল নোট সহ গ্রেফতার ২ যুবক
বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে পেশের সময় ধৃত রিয়াউল দাবী করে এই ঘটনার পেছনে মূল মাথা রয়েছে রফিক মোমিন। যিনি এক সময় নওদা যদুপুর অঞ্চল তৃণমূলের চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে তার মেয়ে রোজি খাতুন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। রফিক মোমিনের অঞ্চল তৃণমূলের চেয়ারম্যানের পদ চলে যাওয়ার পর কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর গত অক্টোবর মাসে তিনি ও তার মেয়ে পুনরায় তৃণমূলে যোগদান করেন। তিনি এই সমস্ত কিছু করিয়েছেন বলে ধৃত রিয়াউল দাবী করেন। তবে তার দাবী কতটা সত্য তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্য খবর দেখুন