তেল আভিভ : গাজার মানবিক সঙ্কট নিরসনে সম্প্রতি প্রায় ১০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক পাঠানো হয়েছিল। ১৬ নভেম্বর, ট্রাকগুলি গাজায় প্রবেশের পর সেগুলি সশস্ত্র গোষ্ঠী দ্বারা লুট করা হয়। এটি যুদ্ধের মধ্যে সবচেয়ে বড় ত্রাণ লুট বলে অভিহিত হয়েছে, যেখানে খাদ্য এবং অন্যান্য জরুরি সামগ্রী চুরি হয়েছে।
ত্রাণ লুটের কারণে গাজার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে খাদ্য এবং অন্যান্য সামগ্রীর ঘাটতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এতে দ্রব্যের দাম বেড়ে গেছে, যা সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরো বাড়িয়ে তুলেছে। এই চুরি পরিস্থিতি ত্রাণ ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হ্রাস করছে।
আরও পড়ুন : ইজরায়েলকে বাঁচাতে আমেরিকার হাতে ভয়ংকর সি-র্যাম
জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা এই ঘটনাকে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে দেখছে। তারা ত্রাণ পৌঁছানোর সময় নিরাপত্তা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে। তবে, চলমান যুদ্ধ এবং নিরাপত্তাহীনতা এই ধরনের কার্যক্রমের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইজরায়েল বলছে, তারা যতটা সম্ভব ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার কারণে ত্রাণ কার্যক্রমে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ইজরায়েলের দাবি, ত্রাণ চুরির জন্য গাজার অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীগুলো দায়ী।
মানবিক সহায়তার জন্য একটি কার্যকর ব্যবস্থা প্রয়োজন। নিরাপত্তা এবং সমন্বয় জোরদার করে যাতে ত্রাণ সঠিকভাবে পৌঁছায়, সেই প্রচেষ্টা জরুরি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতা বাড়িয়ে গাজায় বসবাসকারীদের সঙ্কট মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া দরকার।
দেখুন আরও খবর :