গান্ধীনগর: গুজরাতে Ragging-কাণ্ডে ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যুতে ১৫ জন ছাত্রকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতরা সকলেই দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। কলেজের অতিরিক্ত ডিন, ড. অনিল ভাথিজার অভিযোগের ভিত্তিতে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) ধারার অধীনে ১৫ জন ছাত্রের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের হয়।
যেখানে হত্যা, অন্যায়ভাবে আটকে রাখা, বেআইনি সমাবেশ এবং অশ্লীল শব্দ ব্যবহার, অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ডের ভিত্তিতে দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের গ্রেফতার করা হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ছাত্রদের হোস্টেল থেকে বহিষ্কার করেছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কলেজের কোনও কাজে তারা যোগ দিতে পারবে না।
মৃত ছাত্রের নাম অনিল নটবরভাই মেথানিয়া(১৮)। জিআরএমএস কলেজটি পাটান জেলার ধরপুরে অবস্থিত। ওই কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল অনিল।
আরও পড়ুন:এত দূষণের পরে দিল্লির কি আর রাজধানী থাকা উচিত? প্রশ্ন থারুরের
কলেজের ডিন ডাঃ হার্দিক শাহ এই ঘটনায় ২৬ জন পড়ুয়ার বয়ান রেকর্ড করেছেন। এর মধ্যে ১১ জন প্রথম বর্ষের ও ১৫ জন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। প্রাথমিক তথ্যে অনুযায়ী কলেজ কর্তৃপক্ষ জানতে পেরেছে ঘটনার দিন ১১ জন প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ১৫ জন দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়ার হাতে র্যাগিংয়ের শিকার হয়।
বালিসানা থানার পুলিশ আধিকারিক পি জে সোলাঙ্কি জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, শনিবার রাতে অনিল মেথানিয়া সহ ১১ জন প্রথম বর্ষের পড়ুয়াকে ‘ইন্ট্রোডাকশন’এর নামে তাঁদের ঘরে ডেকে পাঠায় ১৫ জন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। প্রথমে তাঁদের তিন ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
পরে, জোর করে গান গাইতে, নাচতে বলা হয়। কথা না শুনলে অকথা ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে, ঘর ছেড়ে বাইরে না বের হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। মানসিক চাপে মেথানিয়ার শরীর খারাপ হতে শুরু করে, অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় সে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানান, ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: