বারুইপুর : ২৭৫ তম বর্ষে বারুইপুর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি পুজো। জোরকদমে পুজোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বারুইপুরের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার । বনেদি বাড়ির আনাচে-কানাচে এখন শুধু পুজো পুজো মেজাজ। প্রতিবারের এবারও তাদের পুজোয় এক মাস আগে থেকে ঠাকুরের মাটি দেওয়া থেকে শুরু করে বিল্ডিং সংস্কার করা শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাদের একটাই আক্ষেপ সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আরজিকরের আবহে তাদের মন খুবই ভারাক্রান্ত। মা আসছে পুজো তাদের হবেই কিন্তু কেন সেই ভাবে মায়ের পুজোর এই কটা দিন কিভাবে আনন্দ হবে আমরা কেউ জানিনা।
১১৫৭ সালে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল থেকে জমিদার সহস্ররাম বন্দোপাধ্যায় মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। সেই পুরনো রীতি ও ঐতিহ্য মেনেই দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। বারুইপুরের কল্যাণপুরে এই বন্দোপাধ্যায়ের বাড়ির প্রতিটা মহিলা তাদের এক বাক্যে যেটা সুর হল আরজি করের ডাক্তার মহিলার নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে দোষীরদের উপযুক্ত শাস্তি ও ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে।
পুজোর আবহের আগে সিবিআই থেকে সুপ্রিম কোর্ট এই সমস্ত দোষীদের যদি উপযুক্ত শাস্তি বা হাসির সাজা ঘোষণা করে তাহলে আমাদের সেই ভারাক্রান্ত মনটা থাকবে না। আমরা খুশি মনে সবাই যে যার পুজোর কাজে আনন্দের সহিত পালন করব। দেখতে দেখতে এক মাস গড়ালো এখনো সুবিচারের আশায় মানুষ আর কতদিন অপেক্ষা করবে। উই ওয়ান্ট জাস্টিস এই স্লোগান এর আওয়াজ প্রতিনিয়ত আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। আমরা অর্থাৎ বনেদি বাড়ির মহিলারা অপেক্ষায় রয়েছি বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে যে সমস্ত দুর্বৃত্তরা রয়েছে তাদের অবিলম্বে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি হোক। পাশাপাশি আমরা মহিলারাও অনেকটা স্বস্তি নিয়ে পুজোর কটা দিন ধুমধাম করে মায়ের পুজো করবে । তার পাশাপাশি তারা আরও একটা জিনিস যেটা জানায় মা আসছে কিছুদিনের মধ্যে মাকে আমরা বরণ করে যেমন পুজো করব ঘরে তুলব মার কাছে একটাই আবেদন দোষীরা খুব তাড়াতাড়ি যেন সাজা পায় দৃষ্টান্তমূলক সাজা অর্থাৎ ফাঁসি সাজা তাদের সেই সমস্ত দুষ্কৃতীরা যেন পায়। এটাই মায়ের কাছে আমাদের আবেদন।
আরও পড়ুন: এই প্রথম সিনেমায় প্লে-ব্যাক কোনও বহুরূপী শিল্পীর
পুজোর কটাদিন ছেলেরাই সব দায়িত্ব পালন করেন। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, পুজার কয়েকটা দিন ফলকাটা থেকে শুরু করে নৈবেদ্য সাজানো সব কাজ বাড়ির ছেলেরাই। সপ্তমীর দিন মন্দির সংলগ্ন চাতালে যূপ কাষ্ঠে হয় পাঁঠা বলি । এছাড়া অষ্টমীর দিন ও সন্ধিপুজার সময় পাঁঠাবলির রীতি রয়েছে । এমনকি, নবমীর দিনও পাঁঠা ও শস্য বলি হয়ে থাকে। দশমীর দিন মাকে পান্তা ভাত, কচু শাক দেওয়া হয় । কারণ, দশমীর দিন অরন্ধন হিসেবে পালিত হয়। সে দিন রান্না হয় না ।