কলকাতা: লাফিয়ে বাড়ছে জিএসটি বাবদ কর ফাঁকি ও জালিয়াতির ঘটনা। এবার প্রকাশ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের দুই মন্ত্রকের বিপুল পরিমাণ জিএসটি ফাঁকির তথ্য। রেলমন্ত্রক ও যোগাযোগ মন্ত্রক। জিএসটি ফাঁকি সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি, দুই মন্ত্রক মিলিয়ে কর ফাঁকির অঙ্ক প্রেয়ায় ফাঁকির অঙ্ক ৪২৩ কোটিরও বেশি।
সূত্রের খবর, বিভিন্ন রাজ্য সরকারি সংস্থা যে হারে জিএসটি ফাঁকি দিচ্ছে এতে টাকার অঙ্ক পার করবে কয়েক হাজার কোটি। রাজ্যগুলির মধ্যে এগিয়ে মহারাষ্ট্র। সদ্য সামনে এসেছে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের কর ফাঁকির নজির। পরোক্ষ কর পর্ষদের আওতাধীন ডিরেক্টরেট জেনারেল অব জিএসটি ইন্টেলিজেন্স (ডিজিজিআই) কর ফাঁকি রুখতে কাজ করে। ওই সংস্থার কর্তারা জানিয়েছেন, ডাক বিভাগের ডিরেক্টরেট অব পোস্টাল লাইফ ইনসিওরেন্সের এই পর্যন্ত ১২৬ কোটি ১৮ লক্ষ টাকার জিএসটি তছরুপের তথ্য হাতে এসেছে।
আরও পড়ুনঃ ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড ইস্যু, নির্বাচন কমিশনে আস্থা বোম্বে হাইকোর্টের
দেশজুড়ে ২৩টি সার্কেল থেকে তারা গ্রামীন ডাক জীবন বিমা বিক্রি করে। যেসব এজেন্ট এই বিমা পলিসিগুলি বিক্রি করেন, তাঁদের প্রাপ্য কমিশন থেকে জিএসটি বাবদ টাকা কেটে জিএসটি কর্তৃপক্ষের কাছে জমা করাটাই নিয়ম। তবে টাকা কেটে নেওয়া হলেও ডাকবিভাগে জমা পড়েনি বলেই জানাচ্ছেন ডিজিজিআই আধিকারিকরা। ফিনান্স কর্পোরেশনের জিএসটি বাবদ মেটানোর কথা ছিল ২৯৭ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা। কিন্তু তাঁরা টাকা মেটাননি হদিশ পেয়েছেন ভোপাল জোনের অফিসাররা।
অপরদিকে কর ফাঁকির তথ্য সামনে এনেছেন চন্ডীগড়ের অফিসাররা। রাজ্য সরকারি সংস্থাগুলির জিএসটি ফাঁকির নিরিখে পিছনে ফেলে দিয়েছে মহারাষ্ট্র। এই রাজ্যের বিরুদ্ধে ১১১ কোটি টাকার কর ফাঁকির তথ্য উঠে এসেছে। ডিজিজিআই সূত্রের খবর, তদন্তের পর কর ফাঁকি দেওয়ার তথ্য সামনে আসলে সরকারি সংস্থাগুলি খানিকটা বকেয়া মেটানোর উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। পেনাল্টিও দিয়েছে বেশ কিছু সংস্থা। সেই প্রক্রিয়াব শুরু হয়েছে তদন্তের পর। বলা বাহুল্য, তা না হোলে কেন্দ্র কয়েক হাজার কোটি রাজস্ব ক্ষতির মুখে পড়ত।
দেখুন আরও খবরঃ