কলকাতা : কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের সরব মুখ্যমন্ত্রী। ১০ লক্ষ পরিবার জল পাচ্ছেন না কেন্দ্রের জন্য। দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ রেল-সহ কেন্দ্রের বিভিন্ন দফতরের অসহযোগিতার জন্য রাজ্যের ৫০ লক্ষ পরিবারে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। সোমবার নবান্নের বৈঠক থেকে এমনই অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন বৈঠকে এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ওদেরকে ইমিডিয়েট কো-অপারেশন করতে বলুন, না হলে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিতে হবে’।
আরও পড়ুন: দাম কমিয়ে আদানি’র থেকেই বিদ্যুৎ কিনতে চায় বাংলাদেশ?
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বৈঠকে বলেন, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্যের মানুষদের ঘরে ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, কিন্তু তারপর কেন্দ্রই অসহযোগিতা করছে রাজ্যের সঙ্গে। যার জেরে রাজ্যের ৫০ লক্ষ মানুষ পানীয় জল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। যার মধ্যে রেলওয়ের ১ লক্ষ ৩৪ হাজার পরিবার সঠিকভাবে জল পাচ্ছেন না।
জল সরবারহ না হওয়া প্রসঙ্গে ডিভিসিকেও এক হাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ডিভিসি শুধু বন্যার জল ছাড়তে পারেন, কিন্তু জনসাধারণদের পানীয় জল দিতে অক্ষম। উল্লেখ্য, এর আগেও বারবার মুখ্যমন্ত্রী সরব হয়েছেন ডিভিসিকে নিয়ে। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, ডিভিসি ইচ্ছাকৃতভাবে বন্যার জল ছাড়ে প্রতিবছর। যার জেরে বারবার বঙ্গের একপ্রান্তের মানুষকে সম্মুখীন হতে হয় বন্যার। ডিভিসির কারণে ৪ লক্ষ পরিবার পানীয় জল পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, প্রশাসনের টার্গেট ২০২৫ সালের এপ্রিলের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে পানীয় জল। রাজ্যের টার্গেট ১ কোটি ৭৭ লক্ষ বাড়িতে ২০২৫ এর মধ্যে জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হবে। আর এই প্রেক্ষিতেই এবার কেন্দ্রকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি জানান কেন্দ্র যদি সহযোগিতা না করে তাহলে এবার রাজ্যের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কাছ থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান জনসমক্ষে তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ তোলেন, একাধিক ঠিকাদার এবং ইঞ্জিনিয়রদের বিরুদ্ধে। তারা যদি ঠিকভাবে কাজ না করে তাহলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হবে আইনি পদেক্ষপ, স্পষ্টত জানান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
দেখুন অন্য খবর