ইম্ফল: গত বছর থেকেই জাতি হিংসায় অগ্নিগর্ভ মণিপুর(Manipur)। অবস্থা এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এই উত্তপ্ত বাতাবরণের মধ্যেই মণিপুরে দুটি নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর(insurgent) সাত জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনীর যৌথ অভিযানে তাদের পাকরাও করা হয়।
ধৃতদের মধ্যে ছ’জন দু’টি সশস্ত্র নিষিদ্ধ গোষ্ঠীর সদস্য। সপ্তম জন মেইতেই সশস্ত্র গোষ্ঠী আরামবাই টেঙ্গোলের সদস্য বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন:রাজনীতি থেকে অবসর নিচ্ছেন শরদ পওয়ার?
মণিপুর পুলিশ আরামবাই টেঙ্গোলের যে সদস্যকেও গ্রেফতার করেছে তার নাম খুল্লেম সঞ্জীপ। ৩০ বছরের খুল্লেম সঞ্জীপ ওরফে ভীম নামে পরিচিত । ৩১ অক্টোবর ইম্ফলের সেনাপতি জেলার দুই নাগা সম্প্রদায়ের ব্যক্তিকে আক্রমণে জড়িত থাকার জন্য এটি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দুই নাগা ব্যক্তির বিচার চেয়ে, তিনটি প্রভাবশালী নাগা সংগঠন ২ নভেম্বর মণিপুর সরকারের কাছে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়।
থৌবাল এবং বিষ্ণুপুর জেলা থেকে দু’টি পৃথক অভিযানে চালিয়ে ওই গোষ্ঠীর সাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে অপহরণ, তোলাবাজি সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
অপর একটি ঘটনায় মণিপুরের বিবিভিন্ন জেলা থেকে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ (Weapons Recovered) উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্নাইপার রাইফেল, দুটি বোল্ট অ্যাকশন রাইফেল, একটি ৯ এমএম পিস্তল, বেশ কয়েকটি গ্রেনেড-সহ বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র।
ইম্ফল পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, থৌবালের চারংপাট মায়াই লেইকাই থেকে কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি (পিপল্স ওয়ার গ্রুপ)-র পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। পাঁচটি মোবাইল ফোন, ১৩টি সিমকার্ড এবং একটি চার চাকার গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
ওই দিনেই পিআরইপিএকে নামে আর একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের আরও এক জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে বিষ্ণুপুরের কুম্বি থেকে পাকরাও করা হয়।
দেখুন অন্য খবর: