কলকাতা: প্রথমে কোটা সংস্কার ও পরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের জেরে বোন শেখা রেহানাকে নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসতে বাধ্য হন সেসময়ের বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। এরপর থেকে আপাতত ভারতেই রয়েছেন তিনি। কিন্তু, দেশ ছাড়লেও নিস্তার নেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর। প্রায় প্রতিদিনই শেখ হাসিনার নামে বিভিন্ন অভিযোগে মামলা দায়ের হচ্ছে। শুধুমাত্র কোটা সংস্কার বা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হত্যার ঘটনাই নয়, পুরনো ঘটনাতেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হচ্ছে। শুধুমাত্র বাংলাদেশের আদালতেই নয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালেও মামলা হয়েছে হাসিনার নামে। হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, অর্থপাচার সহ একাধিক মামলা রুজু হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, রবিবার ২৫ অগাস্ট পর্যন্ত হাসিনার বিরুদ্ধে মোট ৭৪টি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। ১৩ অগাস্ট প্রথম হাসিনার নামে মামলা রুজু হয়। ঢাকার মহম্মদপুর থানায় প্রথম হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে ৭টি মামলা হয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে কমপক্ষে ৬৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধু হাসিনা নয়, তাঁর আমলের মন্ত্রী, সাংসদ, পুলিশ ও ব়্যাবের শীর্ষ আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার তালিকায় রয়েছে তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামও।
এদিকে, হাসিনা পদত্যাগ করার পরে বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। নিয়ম মাফিক নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত এই সরকারের মেয়াদ থাকবে। কিন্তু, তা কতদিন? সেই বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, আমরা নিজের নিজের পেশায় আনন্দে আছি। দেশের সঙ্কটকালে ছাত্রদের আহ্বানে এই দায়িত্ব নিয়েছি। কতদিন তা পালন করব তা ঠিক করার ভার দেশবাসীর সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে। আমরা সংস্কারের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশনকেও সংস্কার করব। কমিশনকে আদর্শ নির্বাচন সম্মন্ন করার জন্য তৈরি করব।
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে ভাইরাল ভিডিও, তদন্তে মোড় ঘুরে যাবে?
আরও খবর দেখুন