রাজস্থান: মানুষের মৃত্যু হলে আর বেঁচে ওঠা সম্ভব নয়-এটাই প্রকৃতির নিয়ম। কিন্তু সম্প্রতি এমন এক ঘটনা ঘটল, যেটি সম্পর্কে জানলে প্রকৃতির এই অমোঘ নিয়মকে ‘মিথ্যে’ বলে মনে হবে। কারণ, রাজস্থানের ঝুনঝুনুতে এক রোগী লাশঘর থেকে বেঁচে ফিরলেন। কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব? আসলে ঘটনার কেন্দ্রে থাকা যুবকের নাম রোহিতাশ। মানসিক ভারসাম্যহীন ও বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন এই যুবক থাকতেন ‘মা সেবা সংস্থা’ নামের স্থানীয় একটি বেসরকারি সংস্থার আবাসিক হিসেবে। বৃহস্পতিবার সকালে রোহিতাশকে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁকে ঝুনঝুনুর বিডিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে যাওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর দেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সেখানে চার ঘণ্টার জন্য অই যুবকের দেহকে ফ্রিজারে রাখা হয়। এদিকে পরিবারের কারও খোঁজ না মেলায় রোহিতাশের দেহকে ‘বেওয়ারিশ লাশ’ হিসাবে গণ্য করা হয়।
আরও পড়ুন: জামিন পেয়েও কেন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন AAP নেতা?
অভিযোগ, ময়নাতদন্ত ছাড়াই রিপোর্ট তৈরি করেন চিকিৎসকেরা এবং তা পুলিশের হাতে তুলে দেন। এরপর পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে সৎকারের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। সৎকারের জন্য রোহিতাশের দেহ নিয়ে যাওয়ার সময় ঘটে যায় এক অভূতপূর্ব ঘটনা। ‘মৃত’ যুবক হঠাৎ করেই নড়াচড়া শুরু করেন। উপস্থিত পুলিশ এবং অন্যান্য ব্যক্তিরা তৎক্ষণাৎ বিষয়টি বুঝতে পেরে হতবাক হয়ে যান। এই ঘটনার পর রাজস্থানের স্বাস্থ্য দফতর দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ আধিকারিককে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করা হয় এবং তদন্ত শুরু করা হয়। জেলা প্রশাসকের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ দু’জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: