নয়াদিল্লি: শিক্ষার্থীর কল্যাণে তাঁকে শাসনের অধিকার আছে শিক্ষকের (Teacher)। শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনা ফৌজদারি মামলা খারিজ করতে গিয়ে অভিমত কেরল হাইকোর্টের (Kerala High Court)।
শিক্ষককে যদি জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টের বাঁধনে বেঁধে রাখা হয়, তাহলে বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধনী পদক্ষেপে তাঁরা আটকে যাবেন। স্কুলের শৃঙ্খলা ব্যবস্থা নষ্ট হবে। এমন অভিমত দিয়ে ১৩ বছরের এক নাবালিকাকে ইংরেজি শিক্ষক দ্বারা মারধরের অভিযোগ খারিজ বিচারপতি এ বদরুদ্দিনের।
আরও পড়ুন: পর্যটকদের জন্য বন্ধ ডুয়ার্সের ঐতিহ্যবাহী মধুবনী পার্ক
ওই ছাত্রীকে মারার পিছনে কোনও খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না। ছাত্রীটি যাতে পড়াশোনায় আরও বেশি মন দেয়, ভাল ফল করে, সেই কারণেই তিনি শাসন করেছিলেন। এমন সংশোধনী পদক্ষেপকে যদি জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টের বাঁধনে বাঁধার চেষ্টা হয়, তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলাব্যবস্থাই নষ্ট হবে। অভিমত আদালতের।
এই আইনে স্কুল সম্পর্কে কিছু বলা নেই। প্রস্তুত চাইল্ড কেয়ার ইনস্টিটিউশন এর ক্ষেত্রে এই আইন কার্যকর হয়। এমন ব্যাখ্যা দিয়ে আদালত এও জানিয়েছে, শিক্ষক দ্বারা শিক্ষার্থীকে শাসনের বিষয়টি প্রতিটি ক্ষেত্রে আলাদা। যদি দেখা যায়, ভীষণ রাগে অথবা উত্তেজিত হয়ে শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর আঘাত করা হয়েছে, তখন সেই বিষয়টিকে যথাযথ শাসনের অধিকার হিসেবে মানা যাবে না।
আরও খবর দেখুন