সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়,তমলুক: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) রদবদলের প্রস্তাবে বড় সিলমোহর দিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এমনটাই খবর দলীয় সূত্রে।
জানা গেছে, আসন্ন উপনির্বাচনের পরেই পনেরোটি জেলার সভাপতি এবং নানা সাংগঠনিক স্তরে রদবদল করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সঙ্গে অনেক পুরসভা ও পুরো নিগমের মাথা পরিবর্তন করতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল। বেশ কয়েকজন দলীয় নেতৃত্ব জানাচ্ছেন বেশ কয়েকটি জায়গায় লোকসভা ভোটে চূড়ান্ত ব্যর্থ তৃণমূল। সেই সমস্ত জায়গাতে পরিবর্তন হতে পারে, এমনটাই দলীয় সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন:সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, শপথবাক্য পাঠ করালেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু
তবে পনেরোটি জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে। লোকসভা ভোটে কার্যত চূড়ান্ত ব্যর্থ তৃণমূল এই জেলায়। জেলায় ছিলেন দুই মন্ত্রী। ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন অখিল গিরি। তবে মৎস্যমন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন বিপ্লব রায় চৌধুরী। লোকসভা ভোটে বিপ্লব রায় চৌধুরীর নিজের বিধানসভা এলাকা কোলাঘাটে ভালো ফল করতে পারেনি তৃণমূল।
জেলার রাজনৈতিক মহলে গুজব সেই পদে বিপ্লব রায় চৌধুরীকে সরিয়ে আসতে পারেন উত্তম বারিক। অপরদিকে তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি হিসেবে রয়েছেন অসিত ব্যানার্জি এবং জেলার চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মাইতি। তমলুক লোকসভা ভোটে দেবাংশুর বিপুল হারের পরে রথ বদলের কোপে পড়তে পারেন এই দুই বর্ষীয়ান নেতা এমন কথাই ঘোরাফেরা করচে রাজনৈতিক মহলে। তবে দুই বর্ষীয়ান নেতৃত্বই জানিয়েছেন, পদ চলে গেলেও তারা আগের মতই দলের সঙ্গে ছিলেন থাকবেন।
তবে তৃণমূলের এই রদবদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির দাবি যে সমস্ত নেতৃত্ব পদে থেকে কালীঘাটে টাকা পৌঁছতে পারেননি, তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে বিজেপির এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের এক রাজ্যস্তরের নেতা পার্থসারথি মাইতি স্বীকার করেছেন গত নির্বাচনে জেলার কোন সিনিয়র নেতৃত্ব ভালো ফল করতে পারেনি। রদ বদলের দৌড়ে তারা যে এগিয়ে তা বলার অবকাশ রাখে না।
দেখুন অন্য খবর: