কলকাতা: রাজ্যে সরকারি খাতে রাজ্যবাসীর পরিষেবায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) শুরু করেছিলেন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প (Swasthyasathi) । পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে এটি একটি জনপ্রিয় প্রকল্প হল স্বাস্থ্যসাথী। শুরু থেকেই স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত এই প্রকল্পের যাবতীয় খরচ বহন করে রাজ্য সরকার
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিধায়ক সুকান্ত কুমার পালের প্রশ্নের জবাবে তথ্য দিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এই প্রকল্প সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য তুলে ধরেছিলেন। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্যে বর্তমানে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে নথিভুক্ত রয়েছে মোট ৮ কোটি ৭২ লক্ষ ৫৭ হাজার ৬০৭ জনের নাম।
জানা যাচ্ছে,২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার মোট ২৬৯৪ কোটি ৬৪ লক্ষ ৯ হাজার ৬৩১ টাকা খরচ করেছে। রাজ্যের প্রায় ৯ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসাথীর পরিষেবার আওতায় পরিষেবা পাচ্ছেন। পরিষেবায় কোনও অসুবিধা হলে গ্রাহকদের এর হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে জানানোর পরামর্শ দেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: চন্দ্রিমার আনা ‘স্বাধিকার ভঙ্গ’ নোটিসে বিজেপি বিধায়ক হিরণকে সতর্ক
স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে ২ কোটি ৪৪ লক্ষ পরিবার এই প্রকল্পে নথিভুক্ত । ৮ কোটি ৭২ লক্ষ ৫৭ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় এসেছেন । ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২১ লক্ষ ২৮ হাজারের বেশি মানুষ পরিষেবা পেয়েছেন, এই খাতে সরকারের ব্যয় হয়েছে ২৬৯৪.৬৪ কোটি টাকা । পূর্ববর্তী বছরগুলিতেও ব্যয় ধাপে ধাপে বেড়েছিল ৷ ২০২১-২২ সালে ২২৬৩ কোটি টাকা, ও ২০২২-২৩ সালে ২৬৩০ কোটি টাকা ও ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে সেই ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২৬৯৪.৬৪ কোটি টাকা । বর্তমানে ২৯১৪ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথীর অধীনে নথিভুক্ত ।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা পরিষেবা সুযোগ পাওয়া যায়। এই কার্ড দেখিয়ে রোগীরা হাসপাতালে বিনামূল্যের চিকিৎসা পেয়ে থাকেন। হাসপাতালে কোনও টাকা দিতে হয় না। পরে সরকারের তরফে বিল মেটানো হয়।
এই প্রকল্পের সুবিধা শুধুমাত্র হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করালে পাওয়া যায়, আউটডোর চিকিৎসার ক্ষেত্রে না। তবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকার পরেও বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে, চন্দ্রিমা বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে একটি নির্দিষ্ট হেল্পলাইন নম্বর রয়েছে, যেখানে 24×7 অভিযোগ জানানো যায় । যদি কোনও নথিভুক্ত বেসরকারি হাসপাতাল পরিষেবা দিতে অস্বীকার করে, তাহলে এই নম্বরে ফোন করলেই সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে ।
দেখুন অন্য খবর: