কলকাতা: প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন স্বস্তিকা মুখ্যোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee on Bangladesh)। কোটা সংস্কারের আন্দোলনরত ছাত্রদের সমর্থনে ছিলেন তিনি। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরেও অশান্তি কমেনি প্রতিবেশী দেশে। বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুললেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। বঙ্গবন্ধুর মূর্তিতে হাতুড়ির ঘা, জেসিবি দিয়ে ভাঙা হচ্ছে মূর্তি, জুতোর মালা, মুখে কালি। শুধু বঙ্গবন্ধুর নয় ভাঙা হয়েছে রবীন্দ্রনাথের মূর্তিও। মূর্তি ভাঙা নয় সেখানকার মহিলারা নিগৃহীত হচ্ছেন। সংখ্যালঘুদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে উন্মত্ত জনতা মেতে উঠছে বিশ্রী উল্লাসে! বর্তমানে বাংলাদেশের চিত্র এটাই। যা দেখে শিউড়ে উঠছে বিশ্ববাসী। এনিয়ে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বাংলাদেশের যুবপ্রজন্মের পাশে থাকার কথা বলেছিলেন অভিনেত্রী।
অভিনেত্রীর মন্তব্য, দুদিন ধরে দেখছি বাংলাদেশে হিন্দুদের ঘর পুড়ছে, মহিলাদের নিগ্রহ করা হচ্ছে, এমনকি দুই বাংলার অত্যন্ত প্রিয় গুনী শিল্পী রাহুলের বাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে। এই দায় বাংলাদেশের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বকে নিতে হবে। নিতে হবে তামাম বাংলাদেশীদের। মূর্তি ভাঙা, মুক্তিযুদ্ধের জাদুঘরে আগুন দেওয়া, এই কি ছিল কোটা আন্দোলনের উদ্দেশ্য? বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়ে সোজাসাপটা প্রশ্ন ছুঁড়লেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: ভিনেশ ফোগাটের পাশে ঋদ্ধি-ঋত্বিক, কী বললেন অভিনেতারা?
স্বস্তিকা এর প্রতিবাদ করে পোস্ট করেন। তিনি লেখেলেন, বাংলাদেশের নাগরিক না হয়েও, বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরা যখন গুলি খেয়েছে, মার খেয়েছে তাদের পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছি। কিন্তু দুদিন ধরে দেখছি বাংলাদেশে হিন্দুদের ঘর পুড়ছে, মহিলাদের নিগ্রহ করা হচ্ছে, এমন কি দুই বাংলার অত্যন্ত প্রিয় গুনী শিল্পী রাহুলের বাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে। এই দায় বাংলাদেশের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব কে নিতে হবে। নিতে হবে তামাম বাংলাদেশী দের।
মূর্তি ভাঙা, মুক্তিযুদ্ধের জাদুঘরে আগুন দেওয়া, এই কি ছিল কোটা আন্দোলনের উদ্দেশ্য? মুক্তিযুদ্ধ তো জেনেছিলাম, সকল বাংলাভাষী মানুষের প্রানের মূল্য, কিভাবে আপনারা একজন স্বৈরশাসক হটাতে গিয়ে, এই মুক্তিযুদ্ধ কে আঘাত করলেন? আপনারা সকল ধরনের সাম্য ও মৈত্রীর কথা বলেছিলেন, তার প্রথম শর্ত একটি দেশের সংখ্যালঘুদের প্রান, মানবাধিকারের প্রতিষ্ঠা। সে ব্যার্থ হল। পালাবদলের সম্মুখে দাঁড়িয়ে আছেন আপনারা, সবার আগে বাংলাদেশের হিন্দুদের প্রান বুক দিয়ে রক্ষা করুন। যদি বলেন, এ আপনাদের মদতে হয়নি, বাংলাদেশের মুসলিম মৌলবাদী, সুযোগ সন্ধানী’রা করেছেন, তবে একটি কথাই বলবো, আপনাদের স্বপ্ন ছিনতাই হতে দেবেন না, তরুণদের ত্যাগ কে ব্যবহার করে, কোনো শক্তি যেন গনহত্যা না চালায়, সেই দায় দায়িত্ব’ও আপনাদের। বাংলাদেশে শান্তি, গণতন্ত্র, সংখ্যালঘুদের অধিকার ফিরুক যত শীঘ্র সম্ভব।
View this post on Instagram
অন্য খবর দেখুন