বাংলাদেশ: বিগত কয়েকমাস ধরেই সংকটের নাগপাশে আবদ্ধ হয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। গণঅভ্যুথ্বানের পর থেকেই নানা কারণে অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি হয়েছে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আর এবার অন্ধকারে ডুবতে চলেছে দেশটি। কারণ, নভেম্বর থেকেই বিদ্যুৎ ঘাটতির সমস্যায় পড়েছে বাংলাদেশ। বকেয়া টাকা না দেওয়ার কারণে এবার বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার পথে আদানি গোষ্ঠী। আদানি পাওয়ার (Adani Power), সম্প্রতি ৮৪৬ মিলিয়ন ডলারের বকেয়া টাকার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে তাঁদের বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে কমিয়ে দিয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ জুড়ে বিদ্যুৎ ঘাটতির একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত থেকেই আদানি গোষ্ঠী এই পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ হ্রাসের ফলে বাংলাদেশে ১,৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কারণ, সাধারণত আদানি পাওয়ার থেকে ১,৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ কড়া হত। কিন্তু আদানি প্ল্যান্ট এখন অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে বাংলাদেশে। এম্নিতেই, বাংলাদেশ এখন মুদ্রাস্ফীতি, মুদ্রার অবমূল্যায়ন এবং বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে ব্যাপক আর্থিক মন্দার মধ্যে রয়েছে। ফলস্বরুপ, বর্তমানে বাংলাদেশীদের দৈনন্দিন জীবন এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। তার উপর আবার খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই বিদ্যুৎ সংকট। এদিকে আবার বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির সমস্যাও রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুরস্কে রাশিয়ার হয়ে লড়ছে আট হাজার কোরিয়ান সেনা, দাবি ব্লিঙ্কেনের
কিন্তু কীভাবে বিদ্যুতের ঘাটতি তৈরি হল সেই দেশে? আসলে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাঙ্ক আদানি পাওয়ারকে ১৭০.০৩ মিলিয়ন ডলার লেটার অফ ক্রেডিট ইস্যু করতে সম্মত হয়েছিল। কিন্তু, ডলারের ঘাটতির কারণে এটি সম্ভব হয়নি। এর ফলে, বিদ্যুতের উপর নির্ভরশীল শিল্পগুলি, যেমন উৎপাদন এবং টেক্সটাইল শিল্প সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্থনৈতিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সেখানে আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের আরও কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে।
দেখুন আরও খবর: