কলকাতা: লোকসভা ভোটের আগে অধীররঞ্জন চৌধুরীকে একটি সাক্ষাৎকারে বলতে শোনা যায়, হেরে গেলে তিনি বাদাম বেচবেন। অধীরবাবুর এই উক্তি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। বাংলার বেশ কিছু ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম সেই খবরও প্রকাশ করে। দুর্ভাগ্যবশত ভোটে হেরে যান অধীর চৌধুরী। তারপর দিল্লিতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে তিনি ডাক পান। অধীরবাবুর দিল্লিযাত্রার সেই খবর কলকাতা টিভি ডিজিটালে (ইউটিউবে) প্রকাশিত হয়। সেই ভিডিওর ক্যাপশন ছিল – হেরে গিয়ে দিল্লিতে ‘বাদামওয়ালা’ অধীর। কোট আনকোট ‘বাদামওয়ালা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয় তাঁর দেওয়া উক্তির কারণেই। অধীরবাবুর কথাই যে কলকাতা টিভি ডিজিটালে ব্যবহার করা হয়েছে সেটা বোঝাতে কোটেশনও ব্যবহার করা হয়।
অধীরবাবুর আইনজীবী এই প্রতিবেদনের বিরোধিতা করে একটি আইনি নোটিস পাঠান। সেখানে জানানো হয় এই খবরের কারণে অধীরবাবুর সম্মান ও মর্যাদায় আঘাত লেগেছে।
অধীরবাবু বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। দীর্ঘদিনের সাংসদ। লোকসভার বিরোধী দলনেতার ভূমিকাও পালন করেছেন। ওনার মর্যাদাহানির কোনও উদ্দেশ্য কলকাতা টিভি বা কলকাতা টিভি ডিজিটালের নেই। ওনারই একটি মিডিয়ায় সম্প্রচারিত বক্তব্যকে ধরে শব্দপ্রয়োগ হয়েছে। সেই ইউটিউব ভিডিওতে কে বা কারা কী কমেন্ট করেছেন তার দায় কীভাবে কলকাতা টিভির হতে পারে? কলকাতা টিভি কাউকে প্ররোচনা দেয়নি অধীরবাবু ও তাঁর দল সম্পর্কে কটুক্তি করতে।
এই প্রতিবেদন ইউটিউবে সম্প্রচারিত হওয়ার পরে প্রদেশ কংগ্রেস কলকাতা টিভির রাজনৈতিক বিতর্কের অনুষ্ঠানে দলীয় প্রবক্তা পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও কলকাতা টিভির তরফে কংগ্রেসের কাছে দলীয় প্রবক্তা পাঠানোর আবেদন এখনও বন্ধ করা হয়নি। অধীরবাবুর বক্তব্য বা ওনার দল কংগ্রেসের বক্তব্যও অন্য রাজনৈতিক দলের মত সমান গুরুত্ব পায় কলকাতা টিভিতে। কলকাতা টিভির তরফে এদিন অধীরবাবুর আইনজীবীর পাঠানো নোটিসের জবাব দেওয়া হয়। সেখানে কলকাতা টিভির ভূমিকার কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস ও জাতীয় কংগ্রেসের খবর রাজ্য ও দেশের বিরোধীদলের বক্তব্য হিসাবে যতটা গুরুত্ব আগে পেত, এখনও ততটাই গুরুত্ব সহকারে কলকাতা টিভিতে দেখানো হয়। তবে কংগ্রেস মুখপাত্র ও নেতারা কলকাতা টিভির বিতর্ক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ না করার কারণে, বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যুতে কংগ্রেসের দিকে ওঠা শাসক-বিরোধী দলের আঙুলের পালটা বক্তব্য জানতে পারছেন না কলকাতা টিভির দর্শকরা।