জয়পুর- ঘড়ির কাঁটা বলছে সময় ১৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় পার করেছে। কিন্তু এখনও আশার আলো শোনাতে পারল না রাজস্থান প্রশাসন (Rajasthan)। ১৫০ ফুট গভীরে পড়ে রয়েছে একরত্তি চেতনা (chetana)। কখন উঠবে মেয়েটা তার চিন্তায় চোখে ঘুম নেই, খাওয়া ছেড়েছেন মা ঢোলেদেবী। ক্রমশই উদ্বেগ বাড়ছে পরিবারে। উদ্ধারকারী দলের কাছে মায়ের একটাই আবেদন, দয়া করে আমার মেয়েটাকে ফিরিয়ে দিন।
আজ, শনিবার চেতনার কাকা শুভ্রম ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, “চেতনার মা কথা বলার অবস্থায় নেই। ঘটনাস্থলে উপস্থিত আধিকারিকরা আমাদের কোনও প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন না।” তাঁর আরও অভিযোগ, কোনও প্রশ্ন করলেই তাঁকে বলা হচ্ছে ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর যথা সময়ে সব প্রশ্নের উত্তর দেবেন। এদিকে ঘটনার ছ’দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেননি।
এদিকে উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশপাশি উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আধিকারিকরাও।
আরও পড়ুন-২০২৪-এর শেষে মহাকাশে ‘মারাত্মক’ কাণ্ড ঘটাবে ISRO!
গত মঙ্গলবার প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে শিশুটিকে হুক কৌশল পদ্ধতিতে বার করে আনার চেষ্টা করেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু সেই চেষ্টা ফলপ্রসূ হয়নি। এর পর লোহার পাইলিং যন্ত্রের মাধ্যমে চেতনাকে উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালানো হয়। সেই যন্ত্রের মাধ্যমে প্রথম ধাপে ১৬০ ফুট গভীর একটি গর্ত খনন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। আজ, শনিবার সকালে সেটি প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়েছে।
তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, এরপরেও আড়াআড়ি ভাবে আরও আট ফুট গভীর একটি গর্ত খনন করতে হবে। তবেই শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, রাজস্থানের কোটপুতলি-বেহরুরে গত সোমবার দুপুরে বাড়ির পাশেই একটি জমিতে খেলা করছিল তিন বছরের চেতনা। সেই সময় আচমকা ওই কুয়োতে (well) পড়ে যায় একরত্তি । কুয়োর মুখটি খোলা থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রথমে চেতনার বাবা মা কিছু বুঝে উঠতে পারেননি। কুয়োর ভিতর থেকে কান্নার আওয়াজ পেয়ে বিষয়টি পরিষ্কার হয় চেতনার বাবা মায়ের কাছে। প্রথমে প্রতিবেশীরাই উদ্ধারকাজে হাত লাগান। কিন্তু কুয়োটি গভীর হওয়ায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
কুয়োটির গভীরতা প্রায় ৭০০ ফুট। তবে ১৫০ ফুট গভীরের কোনও জায়গাতেই শিশুটি আটকে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উদ্ধারে এসে পৌঁছয় পুলিশ আধিকারি ও দমকল বিভাগ। পরে উদ্ধার কাজে নামে রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
দেখুন অন্য খবর-