কলকাতা: সুপ্রিম নির্দেশকে উপেক্ষা করেই ফের ১০ দফা দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার থেকে ফের রাজ্য জুড়ে পূর্ণ কর্মবিরতির ডাক দিল জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior Doctors Protets)। কর্মবিরতিতে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের সমস্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগামিকাল মহালয়া। তারপরই শুরু পুজোর কাউন্টডাউন। সাধারণত পুজোর সময় সমস্ত সরকারি হাসপাতালে বেশিরভাগ সিনিয়র ডাক্তাররা ছুটিতে থাকেন। তার মধ্যেই জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির যাওয়ায় রাজ্যজুড়ে রোগী ভোগান্তির আশঙ্কা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে প্রান্তিক এলাকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার (RG kAR Case In Supreme Court) শুনানি ছিল। গতকালই প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছিলেন। শুধু জরুরি পরিষেবা নয়, বহির্বিভাগেও পরিষেবা দিতে হবে বলে জানিয়েছিল আদালত। সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর টানা ৮ ঘণ্টার দীর্ঘ জেনারেল বডি বৈঠকে বসেছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপরই মঙ্গলবার সকাল থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে নামলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। চিকিৎসকদের এই সিদ্ধান্তে কার্যত অচল হয়ে গেল রাজ্যের ২৮টি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। চিকিৎসা করাতে এসে চরম ভোগান্তির শিকার হলেন রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা।
আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের হাতে আবার গ্রেফতার হতে পারেন পার্থ!
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে অগ্রাহ্য করেই কর্মবিরতিতে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য কর্মস্থলে তাদের নিরাপত্তা নেই। যার জেরে সাগরদত্ত, রামপুরহাট এমনকি গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতেও চিকিৎসকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে। যতদিন তারা কর্মস্থলে সঠিক নিরাপত্তা পাচ্ছেন তারা, ততদিন তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। কর্মবিরতির জেরে আজ সকাল থেকে বন্ধ ইন্ডোর ও আউটডোর। এমনকী বন্ধ অস্ত্রপচার। ট্রমা কেয়ার সেন্টার ও জরুরি বিভাগে কিছুটা। তবে তা নামমাত্র। এদিন সকাল থেকে শহরের হাসপাতালগুলিতে নজরে পড়েছে চূড়ান্ত ভোগান্তির ছবি। জেলা থেকে যারা শহরে চিকিৎসা করাতে এসেছেন তারা পরিষেবা না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী ও তাদের পরিবার। হাসপাতালগুলির আউটডোরে রোগীদের ভিড় জমেছে।
দেখুন ভিডিও