কলকাতাঃ লোকসভা ভোটে (Loksabha Vote) বাংলায় ৩০ আসনের মধ্যে ২৮টিতেই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বাম (Left) প্রার্থীদের। শুধু মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং দমদম কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর জামানত রক্ষা হয়েছে। জামানত জব্দ হওয়া ২৮ বাম প্রার্থীর মধ্যে বামফ্রন্টের অন্য শরিক আরএসপি, সিপিআই এবং ফরওয়ার্ড ব্লকেরও নেতারাও রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, মহম্মদ সেলিম মুর্শিদাবাদে ৩৩.৬২ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। দমদমে সুজন পেয়েছেন ১৯.১১ শতাংশ ভোট।
কংগ্রেস ১৩টি আসনে প্রার্থী দিয়ে পাঁচটিতে জামানত রাখতে পেরেছে। আটটিতে কংগ্রেস প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। কংগ্রেস মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রে জিতেছে। এছাড়া বহরমপুরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এবং পাঁচবারের সাংসদ অধীর চৌধুরী হেরেছেন। তিনি ওই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে আছেন। জঙ্গিপুরের কংগ্রেস প্রার্থীও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। রায়গঞ্জ এবং মালদহ উত্তর কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থীরা তৃতীয় স্থান পেয়েছেন। বামেদের সঙ্গে তুলনা করলে কংগ্রেসের ফল ভোট শতাংশের নিরিখে ভালোই হয়েছে বলা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: গণনা কেন্দ্রে শতাধিক ইভিএম বদল হয়েছে, অভিযোগ পরাজিত নিশীথের
অধীর তাঁর পরাজয়ের জন্য সরাসরিই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকে হারানোর জন্যই ভোটের ঠিক আগে রেজিনগরে পরিকল্পিতভাবে দাঙ্গা লাগানো হয়েছে। ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর হিন্দুদের পুকুরে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়ে প্ররোচনা ছড়িয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী তার কোনও প্রতিবাদ করেননি। অধীরের আরও অভিযোগ, সাম্প্রদায়িক তাস খেলার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহরমপুর কেন্দ্রে গুজরাত থেকে ইউসুফ পাঠানকে নিয়ে এসেছিলেন প্রার্থী করে।
আরও খবর দেখুন