জলপাইগুড়ি: রোগীর (Patient) আত্মীয়দের (Relatives) বিরুদ্ধে মহিলা চিকিৎসককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে চিকিৎসক পড়ুয়ারা মাঝরাতেই আন্দোলনে বসলেন। এমারজেন্সির সামনে বসে সিনিয়র ডাক্তারদের নিরাপত্তা দিল চিকিৎসক পড়ুয়ারা। উত্তেজনা জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (Jalpaiguri Medical College and Hospital)।
জানা গিয়েছে, মাসকালাইবাড়ির এক ক্যান্সার আক্রান্ত লিপিকা দাস বীর মৃত অবস্থায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এলে ডাক্তার নিয়ম অনুযায়ী ময়নাতদন্তের কথা বলেন। কিন্তু বেঁকে বসেন রোগীর আত্মীয়রা। এরপরেই পুলিশের উপস্থিতিতেই ডাক্তারদের হেনস্থা ও হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই নিরাপত্তাহীনতা বোধ করে আন্দোলনে নামেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন: তৃণমূল কাউন্সিলরের সঙ্গে ভাইরাল ছবিতে প্রসূন চট্টোপাধ্যায়
এদিকে জলপাইগুড়ি পুরসভার ২২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পিঙ্কু সাহা জানান, এক ক্যান্সারে মৃত রোগীকে আনা হয়। পরিবারের লোকেরা ময়নাতদন্ত করতে রাজি হয়না। তা নিয়েই বচসা হয়। কে কী বলেছে৷ আমি জানি না। ডাক্তারবাবুদের কাছে আমি এসে ক্ষমা চেয়ে গেলাম। আমি কাউকে গালিগালাজ বা হুমকি দিইনি।
চিকিৎসক ডা: পৌলমী সাহার অভিযোগ, রাত আড়াইটে থেকে তাঁর এমারজেন্সিতে বসার কথা। সেই মত তিনিও হাসপাতালে আসেন। জলপাইগুড়ি পুরসভা এলাকায় এক মহিলা রোগী মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আসে । সেই রোগীর ময়নাতদন্ত করার জন্য বলা হলে রোগীর আত্মীয়রা মানতে নারাজ। এরপরেই তাঁর সঙ্গে বচসা বেঁধে যায়। কীভাবে জলপাইগুড়িতে ডাক্তারি করবে দেখে নেবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।
এদিকে জলপাইগুড়ি গভ: মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার ডা: সুরজিৎ সেন বলেন, ময়নাতদন্ত না করেই রোগীর পরিবার মৃতদেহ জোর করে নিয়ে চলে গিয়েছে। চিকিৎসক পৌলমি সাহা ও ডা: সব্যসাচী সেনগুপ্তকে হেনস্থা ও হুমকি দিয়েছে। আমরা কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করব।
আরও খবর দেখুন