তেল আভিভ: এক বছর ধরে বাজছে যুদ্ধের দামামা। ইরান ও ইজরায়েলের যুদ্ধের উত্তপ্ত আবহে এবার সরাসরি হস্তক্ষেপ করল আমেরিকা। জো বাইডেন প্রশাসনের তরফে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত সেনা, বোমারু বিমান ও মিসাইল সিস্টেম। আমেরিকার এই। পদক্ষেপ স্পষ্ট করে দেয়, ইরান যদি ইজরায়েলে হামলা চালায় তাহলে সরাসরি জবাব দেবে আমেরিকা।
গত বছর ৭ অক্টোবর হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল ইজরায়েল। তারপর ধাপে ধাপে হাউথি, লেবাননের হিজবুল্লার হয়ে মোড় ঘুরেছে সরাসরি ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। হিজবুল্লা প্রধানের মৃত্যুর বদলা নিতে ইজরায়েলের উপর নতুন করে হামলা জারি করেছে ইরান। তার পাল্টা জবাব দিয়েছে নেতানিয়াহুর দেশও।
আরও পড়ুন: ফের ইজরায়েলি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহর হামলা
ইতিমধ্যেই ইরানের সেনাক্যাম্পে হামলার করে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে ইরানের প্রতিরক্ষা সামগ্রী।এতদিন ইজরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করে পরোক্ষভাবে ইহুদিদের পাশে দাঁড়িয়েছিল আমেরিকা। এবার ইরান ও ইজরায়েলের লড়াইয়ে সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নামল ওয়াশিংটন। ফলে আরও একবার নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যে ঘনিয়ে উঠল যুদ্ধের কালো মেঘ।
শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার তরফ থেকে দেওয়া হয়েবে ব্যালেস্টিক মিসাইল, অধিক দূরত্বে হামলা চালাতে ব্যবহৃত বি-৫২ যুদ্ধ বিমান-সহ আরও নানান সামরিক অস্ত্র। ইরান একটু এদিক সেদিক করলেই জবাব দেবে আমেরিকা। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে ইজরায়েলের মাটিতে আগেই প্রতিরক্ষামূলক মিসাইল ‘THAAD’ মোতায়েন করেছিল আমেরিকা। বলা বাহুল্য, ইজরায়েলকে সমর্থন করতে এবার সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যে মাঠে নামল আমেরিকা।
দেখুন আরও খবর: