কলকাতা: আজ দোল। সকাল থেকেই কৃষ্ণপ্রেমে মাতোয়ারা মায়াপুরের ইসকন মন্দির (Mayapur ISKCON)। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তদের ঢল উপচে পড়ছে মন্দির চত্বরে। মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের (Sri Chaitanya Mahaprabhu) ৫৩৯তম আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। সকালে মঙ্গলারতির মাধ্যমে দিনের সূচনা হয়, এরপর দিনভর চলবে বিশেষ পূজা-অর্চনা ও হরিনাম সংকীর্তন।
বেলুড় মঠেও (Belur Math) পালিত হচ্ছে দোল উৎসব । চিরাচরিত রীতি মেনে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের (Sri Ramakrishna) মন্দিরে মঙ্গলারতির পর শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। শ্রীচৈতন্যদেবের পায়ে আবির দিয়ে শুরু হয় রঙ খেলা, যেখানে মঠের সন্ন্যাসী, মহারাজ ও উপস্থিত ভক্তরা অংশ নেন। খোল-করতাল বাজিয়ে চলে মঠ প্রদক্ষিণ।
আরও পড়ুন: রাজভবনে সাড়ম্বরে পালন হল দোল উৎসব
শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan) দোল খেলায় কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। বসন্ত উৎসব এবং দোল খেলার জন্য নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়নি। ফলে সকাল থেকেই শান্তিনিকেতনে রঙের উৎসবে মেতে উঠেছেন পর্যটক ও স্থানীয়রা। নৈহাটিতে বসন্ত উৎসবে যোগ দিয়ে বিরাট বার্তা দিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক তিনি দাবি করেন, “বিরোধীদের দেখা যায় কেবল টিভির পর্দায়, আর বছরের প্রতিটি দিন মানুষের পাশে থাকেন একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা।”
নিরাপত্তার দিকেও কড়া নজর রাখছে প্রশাসন। দোলের দিন যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য কলকাতা পুলিশ মোতায়েন করেছে প্রায় চার হাজার পুলিশকর্মী। শহরের গুরুত্বপূর্ণ ৬০০টি জায়গায় থাকবে পুলিশ পিকেট, পাশাপাশি টহল দেবে মোটরবাইক ইউনিট। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এবং ডিসি পদমর্যাদার অফিসাররা।
দেশবাসীকে হোলির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু । এক্স প্ল্যাটফর্মে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “এই পবিত্র উৎসব মানুষের জীবনে ঐক্যের রঙ আরও গাঢ় করবে।” রাষ্ট্রপতি মুর্মুও শুভেচ্ছাবার্তায় বলেন, “হোলি কেবল ভ্রাতৃত্ববোধ বাড়ায় না, বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করে।” বাংলার মানুষের জন্য বিশেষ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
দেখুন আরও খবর: