পুরুলিয়া: কথায় আছে, ইচ্ছে থাকলে উপায় আছেই। আর সেই কথাই যেন সত্যি প্রমাণ করলেন বলরামপুর লালিমতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী অঞ্জলি সরেন।
২০২৪ সালের ২১ ডিসেম্বর একটি মালবাহী লরির চাকার সাথে তার সাইকেল জড়িয়ে পড়ায় দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন অঞ্জলি। ডান পা পুরোপুরি ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। শুরু হয় ভাঙা পায়ের চিকিৎসা। বড় বড় স্টিলের রড দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয় অঞ্জলির ডান পা। সম্পূর্ণভাবে বেড রেস্টের পরামর্শ দেওয়া হয় তাঁকে চিকিৎসকদের তরফ থেকে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর কাছে যখন মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে ওঠার কথা, ঠিক তখনই অঞ্জলি,তার অদম্য জেদ এবং মনোবলের জোরে পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তে তার সাথে ছিল তার পরিবার। পাশে এসে দাঁড়ায় প্রশাসনও।
আরও খবর: সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল এসএসসি মামলার শুনানি
আজ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর দিন মামা বাড়ি থেকে পরীক্ষা কেন্দ্র পর্যন্ত অঞ্জলি এলেন ব্লক প্রশাসনের দেওয়া এম্বুলেন্সে করেই। কেমন লাগছে জিজ্ঞেস করতেই সংবাদমাধ্যমের সামনেই ভেঙে পড়লেন কান্নায়। অঞ্জলির জন্য পৃথক ক্লাস রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বলরমপুর চন্ডিতলা শিক্ষা নিকেতন কর্তৃপক্ষ। এদিন অঞ্জলির পরীক্ষা দিতে যাতে কোনরকম অসুবিধা না হয় তা খতিয়ে দেখতে পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজির হন বলরামপুর ব্লকের বিডিও সৌগতি চৌধুরী। ছিলেন বলরামপুর থানার আইসি কৌশিক ব্যানার্জি, বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কাল্লাবতী কুমার সহ অন্যানরা।
দেখুন অন্য খবর