সিউড়ি: সভাধিপতির ডাকা বিজয়া সম্মিলনীতে অনুপস্থিত জেলা সভাপতি। বীরভূমে ফের প্রকাশ্যে কাজল-কেষ্ট দ্বৈরথ। ক্ষমতা ও সিন্ডিকেটের খেলা। কটাক্ষ বিজেপির। বীরভূমের মাটিতে পা রেখেই ঘোষণা করেছিলেন শারদ উৎসবের পর বীরভূম জেলার ব্লকে ব্লকে বিজয়া সম্মিলনী করবেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল বৃহস্পতিবার বীরভূমের মুরারই থেকে ব্লক ভিত্তিক বিজয়া সম্মিলনী শুরু করেছেন।
বীরভূমের রাজনৈতিক মহল মনে করছে, অনুব্রত বিজয়া সম্মিলনীর মধ্য দিয়ে পায়ের নীচে মাটি ফিরে পেতে চাইছে। কেষ্ট আনুগত নেতাদের বিজয়ের মঞ্চে দেখা গেলেও শনিবার পর্যন্ত এক মঞ্চে কেষ্ট কাজলকে দেখা গেল না। এখানেই শুরু হয়েছে শাসক শিবিরের মধ্যে রাজনৈতিক বিতর্ক।
আরও পড়ুন: অনশন মঞ্চ থেকে সরে আসার আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর
অনুব্রত মণ্ডল বীরভূম জেলার ১৯ টি ব্লকে সভা করবেন। প্রতিটি ব্লকের দলের বিজয়া সম্মিলনীর প্রধান বক্তা তিনি। জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের তরফ থেকে এমন ঘোষণা করা হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে শনিবার বীরভূমের ময়ূরেশ্বরে পরপর দুটি বিজয়া সম্মিলনী করছেন অনুব্রত। তখনই বীরভূমের নানুর ব্লকের অন্য চিত্র।
বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা জেলা তৃণমূল কোর কমিটির সদস্য কাজল আগেই ঘোষণা করেছিলেন নানুরে তৃণমূলের ব্লক ভিত্তিক বিজয়া সম্মেলনীর প্রধান বক্তা ইটাহারের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্য তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মোশারফ হোসেন। সে মতো একদিকে ময়ূরেশ্বরে অনুব্রত অন্যদিকে কাজলের বিজয়া সম্মিলনী হয়ে গেল নানুরে।
নানুরের পঞ্চায়েত সমিতির মাঠে কোর কমিটির সদস্য কাজল শেখের ডাকা বিজয়া সম্মিলনীতে প্রধান বক্তা হিসাবে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম, কোর কমিটির আহবায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, বিধায়ক বিধান চন্দ্র মাঝি সহ অঞ্চল, ব্লক এবং জেলা নেতৃত্ব।
শনিবার নানুরে বিজয়ার মঞ্চে দেখা গেল অন্য ছবি। বিধায়ক, সাংসদ, কোর কমিটির সদস্য, যে সমস্ত পদাধিকারী তাদের সাথে চেয়ারের একই লাইনে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের চেয়ার। এই ছবি থেকে পরিষ্কার বোঝা গেল অনুব্রত এবং কোর কমিটির সদস্য সকলেই সমান স্তরের নেতা। যদিও এই চিত্রটার বদল ঘটেছে মুরারই, নলহাটি এবং ময়ূরেশ্বর। এই সমস্ত ব্লকে বিজয়ের সম্মিলনীতে অনুব্রত মণ্ডলের চেয়ার সামনে।
কেষ্ট দুবছর জেল থেকে বেরোনোর পর বীরভূমে একসাথে চলার যখন বার্তা দিচ্ছেন তখন কাজলের মুখে অন্য সুর। কাজল শেখ বলেন, অনুব্রত মণ্ডল আমার রাজনৈতিক গুরু। অভিভাবক। উনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। একই দিনে পরপর তিন-চারটে কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। আমাদের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই। তৃণমূলের গ্রুপ একটি। সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রুপ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর গ্রুপ। মমতা ও অভিষেকের নেতৃত্বে আমরা দল করি। তাদের নির্দেশেই আমরা চলব।
দেখুন অন্য খবর: