হুগলি: আরামবাগ পুরসভার (Arambagh Municipality) ১৩ নং ওয়ার্ডের এনায়েত পল্লিতে বাড়ির ভিতর শিশু কোলে এক গৃহবধুর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। ওই গৃহবধূকে খুন করা হয়েছে নাকি অন্য ভাবে মৃত্যু? সমস্তটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। রবিবার বিকালে এই ঘটনায় পাড়ার লোকজনও হতবাক হয়ে যায়। কrভাবে এই মৃত্যু তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। খবর পেয়ে আরামবাগ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। রক্তাক্ত ওই গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে আক্রান্ত শিশুটিকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই গৃহবধূর নাম সাবিনা বেগম (২৭)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খানাকুলের কাছড়া চৌমাথা এলাকার মাইনান গ্রামের বাসিন্দা সাদেক আলি খানের মেয়ে সাবিনা বেগম। তাঁর বিয়ে হয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জোতকানুরামগড়ে বছর ১২ আগে। পারিবারিক অশান্তির কারণে স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যায়।তার পর থেকে আরামবাগ এনায়েত পল্লিতে ভাড়া থাকতেন। এখানেও এক জনকে বিয়ে করেছিলেন বলে জানান তাঁর এক আত্মীয়। এদিন সকাল থেকেই তাঁর ঘরের প্রধান দরজা বন্ধ ছিল। কিন্তু দরজার বাইরে রক্ত দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ দরজা খুলেই দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে আছেন ওই গৃহবধূ। তার কোলে একটি শিশুকন্যা। সেও রক্তাক্ত। পুলিশ শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠায় আরামবাগ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। আর ওই গৃহবধূর রক্তাক্ত দেহকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় আরামবাগ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। স্থানীয় এলাকার মানুষ ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে না চাইলেও এটা খুন বলেই মনে করছেন তাঁরা। তবে এর পিছনে কি রহস্য আছে তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই তদন্ত নেমেছে আরামবাগ থানার পুলিশ ।
আরও পড়ুন: একবারে ১০ কেজি খাবার খেতেন, মৃত্যু ২৪ বছরের তরুণীর
আরও খবর দেখুন