ওয়েব ডেস্ক: বিজেপি (BJP) থেকে একপ্রকার ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সম্প্রতি রাজ্যে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narrendra Modi)। সেই সভাতেও আমন্ত্রণ পাননি তিনি। তাহলে কি দিলীপের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে চাইছেন বিজেপি নেতারা? এমন প্রশ্ন উঠেছিল। তবে সোমবার নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে স্বমেজাজে দেখা গেল বিজেপির প্রাক্তন সভাপতিকে। সংবাদিকদের একের পর এক প্রশ্নের উত্তর দিলেন তিনি।
সাংবাদিকরা দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) প্রশ্ন করেছিলেন, ৩ বার প্রধানমন্ত্রীর সভা এড়িয়ে যাওয়ার পরেও কি আপনি ২৬ এর বিধানসভায় দলের প্রার্থী হচ্ছেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি বলেছেন, “এখনই এইসব অনুমান করে আমরা রাজনীতি করিনা। দলের একটা সিস্টেম আছে। কমিটি হবে। আমাদের পার্টির সংসদীয় কমিটি প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে। যারা এই দায়িত্বে আছেন তারা আমাকে জিজ্ঞাসা করলে আমি আসন নিয়ে যা বলার জানিয়ে দেব। ” এর পরেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনার গুরুত্ব বহাল আছে তার মানে? এর উত্তরে দিলীপ বলেন, “এতদিন পার্টি যা দায়িত্ব দিয়েছে পালন করেছি। ভবিষ্যতেও যা দায়িত্ব দেবে পালন করব।”
আরও খবর: হাইকোর্টে নথিতে সই করে ইলেকশন পিটিশনের পাল্টা হলফনামা জমা দিতে অভিষেক
এর পরে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনার চয়েস খড়গপুর? সেই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ(Dilip Ghosh) বলেন, “অবশ্যই ওখানকার সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। আমি ওখানকার ভোটার। ওখানকার পার্টির অ্যাক্টিভ মেম্বার। ফলে লড়তে হলে যাদের সঙ্গে বরাবর থেকেছি তাদের সঙ্গেই থাকব।” তার পরেই জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল,পুজোর পর থেকে কি খড়গপুরে যাতায়াত বাড়াবেন? এর উত্তরে দিলীপ বলেন “আমার নিউটাউনের বাড়িটা আপাতত আমার ঠিকানা। এখানে বহু লোক দেখা করতে আসে। পুজোর পর আলাদা করে ঘাঁটি গড়ার কিছু নেই। ওখানে অন্য সব জেলার থেকে ভালো সংগঠন আমাদের তৈরি আছে। একটা জেলার কর্মীরা এসে একটা সফল সভা করে দেখিয়ে দিয়েছেন। পার্টি ১ বছর আগে সংগঠন পর্ব বলে একটা প্রক্রিয়া শুরু করেছে।” খড়গপুর বিধানসভায় আপনি জয়ের ব্যাপারে কতটা আত্নবিশ্বাসী? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জিতব বলেই তো লড়ছি। শুধু খড়গপুর নয়। জেলায় সবকটা আসনে জেতার জন্য লড়াই করব।
নন্দীগ্রামের বিপুল জয় নিয়ে দিলীপ বলেছেন, “মানুষ চাইছে বিজেপিকে জেতাতে। পার্টি রেডি থাকলেই সব জায়গায় এই ধরনের ফল আসতে শুরু করবে। ” পাশাপাশি ঠাকুর বাড়ির দ্বন্দ্ব নিয়ে তিনি বলেন, “মতুয়া সমাজের ভক্তরা ঠাকুর প্রতিবারের অনুগত। তার উত্তরসূরিদের সবাই শ্রদ্ধা করে। আগেও একাধিকবার ওখানে পারিবারিক সমস্যা হয়েছে। কপিল ঠাকুরের স্ত্রীর সঙ্গে পরিবারের অনেকের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। দুটো পার্টি হয়ে গেছে। রাজনীতি হয়েছে। মতান্তর হতেই পারে। কিন্তু ভক্তদের বিশ্বাসে যেন আঘাত না লাগে সেটা দেখতে হবে।”
দেখুন অন্য খবর: