দিল্লি: দিন দিন পরিবেশ দূষণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে পরিবেশবিদদের। গত কয়েকদিন ধরে রাজধানী দিল্লি ও এনসিআর-এ দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। দূষণের ফলে সেখানের বাসিন্দারা বিভিন্ন ধরণের শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে কিছু আবাসিক সোসাইটি, বিশেষ করে প্রখ্যাত ডিএলএফ, একটি অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। তারা দিল্লি শহরের বিভিন্ন বহুতল ভবনের উপরের থেকে জল ছিটানোর মাধ্যমে বাতাসে উপস্থিত ধূলিকণার ঘনত্ব কমানোর চেষ্টা করছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে কৃত্রিম বৃষ্টি। কিন্তু এই পদ্ধতিতে কি বাতাসে ধূলিকণার ঘনত্ব এবং দূষণ কমানো সম্ভব? এটাই এখন বড় প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর সৌরঝড়! ব্যহত সমস্ত রেডিও সিগন্যাল, আর কী কী প্রভাব?
প্রাকৃতিকভাবে বৃষ্টি হলে বাতাসে উপস্থিত বেশিরভাগ দুষিত কণা মাটিতে নেমে আসে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকটা জায়গা জুড়ে প্রাকৃতিক উপায়ে বৃষ্টি হলে, তা বায়ুমণ্ডলের দূষণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই প্রক্রিয়াকে স্ক্যাভেঞ্জিং এবং ওয়াশআউট বলা হয়। তবে প্রাকৃতিক বৃষ্টিরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। অনেক সময় এটি দূষণ কণাকে অ্যারোসলের মাধ্যমে পুনরায় বাতাসে ফিরিয়ে দিতে পারে। তাই, বৃষ্টি প্রাকৃতিকভাবে দূষণ কমাতে পারলেও, এটি কোনও স্থায়ী সমাধান নয়। অন্যদিকে, কৃত্রিমভাবে জল ছিটানো হলে দূষণ কমার সম্ভাবনা আরও কম। ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড এর আগেও দিল্লির একটি বিশেষ এলাকায় জল ছিটানোর মাধ্যমে দূষণ কমানোর চেষ্টা করেছিল। তবে সেটিও সফল হয়নি। এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, দূষণ নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জটিল একটি বিষয় এবং কৃত্রিম বৃষ্টির মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলের দূষণ কমানো সহজ কাজ নয়।
দেখুন অন্য খবর: