মিনাখাঁ: কালীপুজোর রাতে মিনাখাঁর তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) ঊষারানি মণ্ডলের উপর হামলা। আক্রান্ত তাঁর স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল। অভিযুক্ত তৃণমূলেরই এক নেতা। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে হাড়োয়ায় একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ঊষারানি। সেখান থেকে ফেরার পথে তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। অভিযোগ, হামলার মূল চক্রী হাড়োয়ার তৃণমূল নেতা খালেক মোল্লা। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খালেক। তৃণমূল নেত্রীর উপর এই হামলাকে ঘিরে মিনাখাঁয় নতুন করে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কালীপুজোর রাতে এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডল। স্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল সহ দলের অনুগামীরা। অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে হঠাৎ তাঁদের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। হাড়োয়া অটোস্ট্যান্ডের কাছে তাঁদের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। বিধায়ক ঊষারানি ও তাঁর স্বামীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। লাঠি দিয়ে ঊষারানির পায়ে মারা হয়। মারের চোটে জখম হয়েছে বিধায়কের ডান পা। মারের হাত থেকে রেহাই পাননি তাঁর অনুগামীরাও। রাতেই হাড়োয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ঊষারানি। খালেক মোল্লার নামে অভিযোগ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: জেল থেকে প্রস্তাব, বন্দি অবস্থায় আদালতে বিয়ে? ঘটনায় স্তম্ভিত কলকাতা হাইকোর্ট
ঊষারানি বলেন, রাতে হাড়োয়া থানায় গিয়েছিলাম। থানায় কালীপুজো ছিল। আমার সঙ্গে ২৫ থেকে ৩০টা বাইক নিয়ে অনুগামীরা ছিল। আমি ওখান থেকে প্রণাম করে ফিরছিলাম। সেই সময় আবদুল খালেক মোল্লা আমাকে মারধর করে। প্রথমে আমাকে গাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে নামায়। তারপর আমাকে ধাক্কা মারে, লোহার রড মারে। আমার অনুগামীদেরও মারধর করা হয়। বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি। ঊষারানি বলেন, আবদুল খালেক মণ্ডল সব কিছু নির্দেশ দিচ্ছিলেন। মল্লিকা মণ্ডলের স্বামী বাসুদেব মণ্ডলের দুষ্কৃতীরা প্রায় ২৫ থেকে ৩০ রাউন্ড গুলি চালায়।
ঊষারানি জানিয়েছেন, তিনি আতঙ্কিত। আমরা মিনাখাঁ থানাতে এসেছি, লিখিত অভিযোগ করব। প্রশাসনের কাছে যাব। উচ্চ কর্তৃপক্ষের কাছেও জানিয়েছি। আবদুল খালেক মণ্ডল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ঊষারানির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। উনি নিজেই সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে এসেছিলেন। আমাদের পঞ্চায়েত প্রধান মল্লিকা মণ্ডল ও তাঁর দলবলের উপর হামলা চালিয়েছেন। গুলিও চালানো হয়েছে। খালেক মণ্ডলের আরও অভিযোগ, লোকসভা ভোটে উনি হেরেছেন। নিজের বুথেই জিততে পারেননি। দলের মধ্যে এখন কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। হাড়োয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর সভাতেও তাঁকে দেখা যায়নি। আসলে ওনার বিজেপি সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে। তার লোকজনও এখন বঞ্চিত। তাই নিজেই এই সব ঘটনা ঘটিয়ে নিজের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে চাইছেন।
দেখুন অন্য খবর: