নয়াদিল্লি: ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) আমেরিকার (US) প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট হওয়ার পর থেকেই যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে বাংলাদেশে (Bangladesh) শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) দল আওয়ামি লিগ (Awami League)। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে আগামীকাল রবিবার ঢাকায় প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে চলেছে তারা। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়ে দিয়েছে তাদের ওই কর্মসূচিকে কোনও অনুমতি দেওয়া হবে না। কড়া আইনি পদক্ষেপ করা হবে। যে ঘটনায় এখন ফুটছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ নতুন করে উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা। গত ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন সেসময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই ঘটনায় জো বাইডেনের আমেরিকার দিকে আওয়ামি লিগের সরকার পতনে ইন্ধনের অভিযোগ তোলা হয়েছিল।
বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই কোণঠাসা হয়ে ছন্নছাড়া আওয়ামি লিগ। দলের বেশিরভাগ নেতা গোপন আস্তানায় চলে গিয়েছেন। অনেকে নেতাকর্মীর নামে একের পর এক মামলা হয়েছে। অনেকে খুন হয়েছেন। দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলিগ নিষিদ্ধ হয়েছে। এমনকী আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করারও বিভিন্ন দিক থেকে প্রচেষ্টা হয়েছিল। হাসিনার সরকার পতনের প্রায় তিন মাসের মাথায় প্রথম রাজনৈতিক কর্মসূচির ঘোষণা করেছে আওয়ামি লিগ। একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল (যদিও ওই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি ডিজিটাল) হয়েছে তাতে জানা গিয়েছে শেখ হাসিনা না কি ওই কর্মসূচি করার নির্দেশ দিয়েছেন। শোনা যাচ্ছে, ওই সভায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবিও থাকতে পারে। দলের কর্মীদের ধারণা ট্রাম্পের আমেরিকার সমর্থন পাবেন হাসিনা। তবে এই বিষয়ে আওয়ামি লিগের তরফে প্রকাশ্যে কিছু জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: আমেরিকার ৩০০ কোটির ড্রোন ধ্বংস করল ইয়েমেন
আওয়ামি লিগের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানানো হয়েছে, ১০ নভেম্বর শহিদ নূর হোসেনের স্মরণে ও গণতন্ত্র অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে ঢাকার জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ মিছিল হবে। দেশের সব জেলা ও উপ জেলা পর্যায়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয় আওয়ামি লিগের তরফে। তবে এই বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, আওয়ামি লিগ এখন যে রূপে আছে তাতে এটি একটি ফ্যাসিবাদী দল। এই দলটিকে বাংলাদেশে বিক্ষোভ করতে অনুমতি দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। গণহত্যাকারী ও স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নির্দেশে কেউ সমাবেশ, জমায়েত ও মিছিল করার চেষ্টা করলে তাঁকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির কঠোর অবস্থানের মুখোমুখি হতে হবে।
দেখুন অন্য খবর: