নয়াদিল্লি: বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভারতবাসীর সঙ্গে উদ্ভূত সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে (Border) আঘাত হানতে সক্ষম (light strike operations) ড্রোন (Drone) মজুত করল ঢাকা? ভারতের গোয়েন্দা দফতরের কাছে এই সংক্রান্ত খবর এসেছে বলে জানা গিয়েছে। এরপরই সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। তুরস্ক থেকে কেনা বেরেক্টার টিবি২ আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকল ড্রোন হঠাৎই সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে বলে খবর। এই মুহূর্তে বিষয়টিকে সাধারণ প্রতিরক্ষার ঘটনা হিসেবে না দেখার অনেক কারণ রয়েছে। তাই ভারতও নজরদারি বাড়াতে চলেছে সীমান্ত বরাবর এমনটাই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। ওই গোয়েন্দা ইনপুট নিবিড়ভাবে যাচাই করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর সীমান্ত এলাকায় সেদেশে তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ড্রোন বাংলাদেশের সেনা গোয়েন্দা তথ্য, নজরদারির জন্য ব্যবহার করে। এই ড্রোন আঘাত হানতেও সক্ষম। কিন্তু, এর আগে সীমান্তে মোতায়েন করেনি। ইতিমধ্যে যেভাবে হাসিনার আমলে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের মুহাম্মদ ইউনুসের সরকার মুক্তি দিচ্ছে তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা। ওই জঙ্গিরা চোরাচালান, সন্ত্রাসমূলক কাজ কর্মে ফের লিপ্ত হতে পারে। প্রতিবেশী ভারতের কাছে যা উদ্বেগের। বিশেষ করে দীর্ঘ সীমান্ত থাকা পশ্চিমবঙ্গের। ভৌগলিক ও ভাষাগত কারণে তারা পশ্চিমবঙ্গে বেশি প্রভাব বিস্তার করতে পারে। ইতিমধ্যে সেখানকার একাধিক সংগঠন ভারত বিরোধী মনোভাব প্রকাশ্যে ব্যক্ত করেছে।
বাংলাদেশে অস্থিরতার মধ্যে নতুন ড্রোন মোতায়েন নিবিড়ভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আমাদের সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এই বিষয়ে অফিশিয়ালি কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি রাজধানী দিল্লি থেকে। এদিকে জানা গিয়েছে, আরএসএসের অনুসারী সংগঠন স্বদেশী জাগরণ মঞ্চ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও ভারত বিরোধী মনোভাবের জন্য পদ্মাপাড়ের দেশের পণ্য বয়কটের জন্য পথে নামতে চলেছে। সেই বয়কটের তালিকায় থাকছে ইলিশ ও ঢাকাই মসলিনও।
অন্যদিকে, ভারতের উদ্বিগ্নমহলের অনেকেই জানিয়েছেন, তাঁরা চান এই সমস্যা দ্রুত নিরসন হোক। বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে ভারত। দুই দেশের নিবিড় সম্পর্ক। বিশেষ করে ভাষাগত কারণে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের অনেকেই নিজেদের কাঁটাতারের বেড়ার দুপারে একই হৃদয়ের মানুষ বলে মনে করেন। বাংলাদেশের কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী যেন এই সম্পর্ক নষ্ট করতে না পারে। ধর্মান্ধ বা কট্টরপন্থী, অসদুপায়ে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করতে চাওয়ারা যেন অরাজকতা না করতে পারে। তাছাড়া এই টানাপোড়েন বাড়লে এই সুযোগে বাংলাদেশে জাঁকিয়ে বসার সুযোগ খুঁজবে চীন, পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: মহাকাশ আবিষ্কারের ভার স্কুল-ছুটের হাতে, নাসার প্রধান মাস্ক ঘনিষ্ঠ আইজ্যাকম্যান
দেখুন অন্য খবর: