ওয়েব ডেস্ক: আজ প্রায় একদশক পর ফুরফুরা শরিফে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই যাত্রায় যে শুধুই সম্প্রীতির বার্তা প্রদান করা হয়েছে তা তাঁর বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট। রাজনৈতিক সমীকরণে যে নেই তা তাঁর অবস্থান থেকেই স্পষ্ট হল। সোমবার বিকেলে ফুরফুরা শরিফের ‘ইফতার’ পার্টিতে যোগদান করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেখান থেকেই দিলেন সম্প্রীতি-ঐক্যের বার্তা। তিনি বলেন, ‘বাংলার মাটি সম্প্রীতির মাটি’। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ আমি রাজ্যের সব ধর্মাবলম্বীর উৎসবে শুভেচ্ছা জানাই। এমনকি সংখ্যালঘুদের অনুষ্ঠানেও যাই। অভিনন্দনও জানাই। সেখানে এত প্রশ্ন তোলার কী আছে?’ বলে পাল্টা প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: হুমায়ুনের জবাবে সন্তুষ্ট নয় দল, কী পদক্ষেপ তৃণমূলের?
সোমবার বিকেল সোয়া পাঁচটা নাগাদ ফুরফুরা শরিফে একদশক পর উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী, তারপরেই যোগ দেন ইফতারে।
তবে বিরোধী দলের মনে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর একদশক পর ফুরফুরায় এই যাত্রা শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কিন্তু তা যে নয় তা প্রমাণিত হল আজকের ইফতার পার্টি থেকেই। কারণ অনেকেই ভেবেছিলেন সেখানে উপস্থিত হবেন ভাঙড়ের বিধায়ক এবং আই এস এফ প্রধান নওশাদ সিদ্দিকী। কিন্তু সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ইফতার পার্টিতে উপস্থিত হলেন না নওশাদ।
উল্লেখ্য, কদিন আগেই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান নওশাদ সিদ্দিকী। এমঙ্কি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ ধরে বৈঠকও করেন। আর তখন থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তাহলে কি এবার রাজনৈতিক জোট তৈরি হতে চলেছে? কারণ ২০২৬ এ বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের রনকৌশল সাজাতে শুরু করেছে। কিন্তু সেই রনকৌশলের আওতায় যে এখনই আই এস এফ এবং তৃণমূল সমান শারিতে দাড়াচ্ছেনা তা আজকের মুখ্যমন্ত্রীর ফুরফুরা শরীফের যাত্রা থেকেই স্পষ্ট।
দেখুন অন্য খবর