বসিরহাট: পশ্চিমবঙ্গের বুকে বিধায়কদের নামে নিখোঁজ পোস্টার পড়া নতুন কোনও ঘটনা নয়। ভোটের আবহে বারবার বিভিন্ন জেলা থেকে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে এমন অনেক ঘটনাই। আর এবার এই ঘটনা ঘটল উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাটের চৌমাথা এলাকায়। সম্প্রতি, বসিরহাট উত্তর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুল ইসলাম মন্ডলের বাড়ির পাশে একটি নিখোঁজ পোস্টার লাগানো হয়েছে, যেখানে ‘সন্ধান চাই’ লেখা পোস্টারে বিধায়ককে ঘিরে বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হয়েছে। পোস্টারে লেখা হয়েছে, বিধায়ককে এলাকার সাধারণ মানুষ প্রায়ই খুঁজে পান না, এবং তিনি মাসের অধিকাংশ দিন বাড়িতে থাকেন না। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সরকারি সামাজিক প্রকল্পের কাজ নিয়ে বিধায়কের কাছে গেলে, তেমনভাবে সাহায্য পান না, বরং বিধায়ক বেশিরভাগ সময় কলকাতায় বসে থাকেন, ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষের সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। গ্রামবাসীরা মনে করেন, তাঁদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির উচিৎ গ্রামে উপস্থিত থেকে তাদের পরিষেবা দেওয়া।
আরও পড়ুন: ভাইফোঁটায় ‘কাঁটা’ অগ্নিমূল্য বাজার! জানুন মাছ-মাংসর কেমন দাম
এই ঘটনার পর বসিরহাট হাসনাবাদ তৃণমূলের ব্লক সভাপতি এসকেন্দার গাজী বলেন, “আমাদের কাছে খবর এসেছে এবং আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। এই পোস্টার কে বা কারা লাগিয়েছে তা স্পষ্ট নয়। এটি সিপিএমের কাজ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, কারণ বিধায়ক রফিকুল ইসলাম একসময় সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। হয়তো তাঁদের মধ্যে কোনো ক্ষোভ থেকেই এই কাজটি করা হয়েছে। তবে, তৃণমূলের কেউ এই কাজ করেছেন বলে আমাদের মনে হয় না।”
রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনা নিয়ে নানা মুনির নানা মত দেখা দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জনপ্রতিনিধির দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় উপস্থিত থেকে সাধারণ মানুষের সেবা প্রদান অত্যন্ত জরুরি। তৃণমূলের বিধায়ক সম্পর্কে এই ধরনের পোস্টার উঠায় তার জনপ্রিয়তা ও কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, স্থানীয় প্রশাসন ও তৃণমূল নেতৃত্ব এই পরিস্থিতির সমাধানে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং বিধায়ক নিজে এই বিষয়ে কী প্রতিক্রিয়া দেন।
দেখুন আরও খবর: